সাংসদ রেবতিকুমার ত্রিপুরার বাড়িতে আক্রমণের ঘটনায় দোষিদের চিহ্ণিত করার উপর জোর দিয়ে বিজেপির সতর্ক প্রতিক্রিয়া

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৫ জুন ৷৷ সাংসদ রেবতিকুমার ত্রিপুরার বাড়িতে আক্রমণের ঘটনায় শরিক দল আইপিএফটি বিজেপি-কে দোষারোপ করছে৷ কিন্তু দলীয় সাংসদের উপর হামলার ঘটনায় বিচলিত হওয়ার বদলে বিজেপি খুবই ঠাণ্ডা মাথায় প্রকৃত দোষীদের চিহিণত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে৷ বিজেপি-র প্রদেশ কমিটির মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্যের কথায়, সাংসদের ওপর হামলাকারীদের রাজনৈতিক পরিচয় খুঁজে বের করা হচ্ছে৷ কারণ, ওই ঘটনার পেছনে বিরোধীদের চক্রান্ত থাকা স্বাভাবিক বলেই মনে হচ্ছে৷


প্রসঙ্গত, গতকাল রাতে ত্রিপুরার ধলাই জেলার গন্ডাছড়ায় সাংসদ রেবতিকুমার ত্রিপুরার বাড়িতে হামলা সংঘটিত হয়েছে৷ ওই হামলার নেপথ্যে আইপিএফটি-র স্থানীয় নেতাদের দায়ী করে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ, এমন-কি পাল্টা হামলায় অগ্ণিগর্ভ অবস্থা গন্ডাছড়ায়৷ ভাঙচুর এবং অগ্ণিসংযোগের ঘটনা আইপিএফটি-র দুই নেতার বাড়িতেও ঘটেছে৷ তাতে, দলের সভাপতি নরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মা এবং সাধারণ সম্পাদক মেবারকুমার জমাতিয়া বিজেপি-র বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন৷


কিন্তু, বিজেপি প্রদেশ শীর্ষ নেতৃত্ব ওই ঘটনাকে খুবই সহনশীলতার সাথে মোকাবিলা করার চেষ্টা করছেন৷ বিজেপি-র প্রদেশ মুখপাত্র নবেন্দুর কথায়, গন্ডাছড়ায় সাংসদের বাড়িতে হামলার ঘটনায় সেখানে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে৷ তবে, এলাকায় পুলিশ, টিএসআর এবং কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে৷ তাতে পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে৷


তিনি জানান, বিজেপির তিনজন কর্মী ও সমর্থক গুরুতর আহত হয়েছেন৷ তাঁদের মধ্যে দুজনকে আগরতলায় জিবি হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়েছে৷ তাঁর কথায়, ওই হামলার ঘটনায় আইপিএফটি যুক্ত, প্রাথমিকভাবে তা প্রমাণিত হয়েছে৷ হামলাকারীদেরও চিহ্ণিত করা গিয়েছে৷ কিন্তু হামলাকারীদের বর্তমান রাজনৈতিক পরিচয় খুঁজে বের করা খুবই জরুরি হয়ে উঠেছে৷ তাঁর দাবি, লোকসভা নির্বাচনের সময় ওই এলাকায় আইপিএফটি নেতাদের অবস্থান যথেষ্ট সন্দেহজনক ছিল বলে মনে হয়েছে৷ তাছাড়া, ওই এলাকায় সিপিএম বরাবরই শক্তিশালী তা অস্বীকার কোনও উপায়৷ তাই, হামলাকারীদের বর্তমান রাজনৈতিক পরিচয় খুঁজে বের করতেই হবে৷


তাঁর মতে, বিরোধীরা বরাবরই চাইবেন রাজ্যে অশান্তি কায়েম থাকুক৷ সেক্ষেত্রে শরিক দলের নেতাদের সাথে ষড়যন্ত্র করা হলে, তা অস্বাভাবিক মনে করি না৷ তবে, শরিকি বিবাদ না হোক, সে-দিকে সর্বদা নজর রাখা হচ্ছে৷ আইপিএফটি-র ক্ষোভ সম্পর্কে প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, দুই শরিক দলের সমন্বয় কমিটি রয়েছে৷ তাঁরা মিলে বসে আলোচনার মাধ্যমের সমস্যার সমাধান করে নেবেন৷ তবে, আইন হাতে নিলে কোনওভাবেই রেহাই দেওয়া হবে না, সাফ জানিয়েছেন নবেন্দু৷