নয়াদিল্লি, ১৩ জুন (হি.স.) : দিল্লি, জম্মু ও কাশ্মীর, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ডসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি পদে আরও কিছুদিন থেকে যেতে পারেন অমিত শাহ৷ এমনই দলীয় সূত্রে খবর৷ স্বয়ং নরেন্দ্র মোদীও চান আরও ছ’মাস সর্বভারতীয় সভাপতি পদে থেকে যান অমিত শাহ৷
অমিত শাহকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি পদে রেখে দেওয়ার একটি ব্যাখ্যা উঠে আসছে৷ রাজনৈতিক মহলের মতে, আগামী ছ’মাসের মধ্যে কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ এর মধ্যে আছে দিল্লি, জম্মু ও কাশ্মীর, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্য৷ এই রাজ্যগুলিতে আরও একবার ক্ষমতায় ফিরে আসতে অমিতেই ভরসা রাখছে গেরুয়া শিবির৷ এবারের লোকসভা নির্বাচনে মোদী-শাহের রণকৌশলেই বিজেপি ৩০৩টি আসনে জয়ী হয়৷ ফলে চার রাজ্যের ভোটের আগে সেনাপতি বদল করতে চান না মোদী৷
বিজেপির সাংগঠনিক নীতি অনুযায়ী সভাপতি পদে সর্বোচ্চ তিন বছর থাকা যায়৷ ২০১৪ সালের আগে অবধি এই পদে ছিলেন রাজনাথ সিং৷ তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন অমিত শাহ৷ ২০১৭ সালে সেই মেয়াদ শেষ হয় অমিতের৷ কিন্তু লোকসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে মেয়াদ বাড়ানো হয়৷ সভাপতি থেকে যান অমিত শাহ৷ সেই মেয়াদও শেষের মুখে৷ এদিকে ভোটে জেতার পুরস্কার হিসাবে অমিতকে মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসেন৷ দেন দু’নম্বর স্থান৷ বিশ্বস্ত অমিতের হাতেই মোদী তুলে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক৷ উল্লেখ্য, গুজরাতে মোদী সরকারের সময় অমিত শাহ স্বরাষ্ট্র দফতরের দায়িত্বে ছিলেন৷
এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের মতো গুরুদায়িত্ব পেয়ে অমিতের পক্ষেও সংগঠনের কাজ দেখা একটু অসুবিধাজনক হয়ে পড়ে৷ সংগঠনের কাজে যতটা সময় দেওয়ার কথা ততটা দিতে পারছিলেন না৷ ফলে মাঝে অমিতের বিকল্প খোঁজা শুরু হয়৷ কিছুদিন আগে জেপি নাড্ডার নাম এই পদের জন্য শোনা যায়৷ এছাড়া শোনা যায় ভূপেন্দ্র যাদবের নাম৷ তবে দলীয় তরফে আনুষ্ঠনিক ভাবে কিছু জানানো হয়নি৷