নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৬ মে৷৷ ত্রিপুরায় বিজেপি কর্মীদের উপর আক্রমণ দলের আভ্যন্তরীণ কোন্দল বলে দাবি করেছে বামফ্রন্ট৷ এই বক্তব্যের খন্ডন করে বিজেপির দাবি, পুলিশ সন্ত্রাসের ঘটনায় পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে ৷ ফলে, দুস্কৃতিদের রাজনৈতিক পরিচয় খুব শীঘ্রই জনসমক্ষে আসবে৷
রবিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলনে ত্রিপুরা বামফ্রন্ট কমিটির আহ্বায়ক বিজন ধর অভিযোগ করেন, নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাসে প্রচুর ঘরবাড়ি, দোকানপাট পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে৷ বামফ্রন্টের কর্মী, সমর্থক এবং দরদীরা আক্রান্ত হয়েছেন৷ তাছাড়া, অনেকের কাছে লক্ষ লক্ষ টাকার চাঁদার হুমকি দেওয়া হয়েছে৷ তাঁর দাবি, ত্রিপুরার ইতিহাসে নির্বাচনোত্তর এমন পরিস্থিতি আগে কখনো হয়নি৷ যেখানে শুধু বামফ্রন্টের সমর্থক হওয়ায় মারধর, ভাঙচুর, বাড়ি-গাড়ি-দোকানপাট পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে৷ তাঁর আরও গুরুতর অভিযোগ, ত্রিপুরায় সাম্প্রদায়িক বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা চলছে৷ জাতি-উপজাতির মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে৷ এই সমস্ত ঘটনার জন্য বিজনবাবু বিজেপি-কে দায়ি করেছেন৷ তাঁর সাফ কথা, ক্ষমতার দম্ভে বিজেপি বিরোধীদের নিশানা করছে৷ সাথে তিনি কটাক্ষের সুরে বলেন, বিজেপি-তে অন্তর্কোন্দলের জন্য তাঁরাও আক্রান্ত হচ্ছেন৷ অথচ এর দায় সিপিএমের উপর দিচ্ছে বিজেপি৷ তিনি বিদ্রুপ করে বলেন, সত্যকে ঢাকতে মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে বিজেপি৷
ত্রিপুরায় সন্ত্রাসের ঘটনা নিয়ে গতকাল প্রদেশ বিজেপি নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে৷ কিন্তু, আজ সিপিএম ত্রিপুরায় সন্ত্রাস এবং অশান্তির জন্য বিজেপি-কে নিশানা করায় সমস্ত অভিযোগ খন্ডন করেছে শাসক দল ৷ বিজেপি ত্রিপুরা প্রদেশ কমিটির মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য্যের কথায়, আজ সারাদিন সন্ত্রাস নিয়ে দলীয় স্তরে পর্যালোচনা করা হয়েছে ৷ সারা রাজ্য থেকে রিপোর্ট সংগ্রহ করা হচ্ছে ৷ তাতে দেখা যাচ্ছে, ত্রিপুরায় সরকার গঠন হওয়ার পর যারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন কিংবা দিতে চাইছেন তাঁদেরই একটা অংশ বিভিন্ন নাশকতামূলক কাজের সাথে যুক্ত রয়েছেন ৷ নবেন্দুর দাবি, বিজেপি কোন ধরনের চাঁদা সংগ্রহ করছে না ৷ কিন্তু, বিজেপির নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন চাঁদার হুমকি দেওয়া হচ্ছে ৷
তাঁর সাফ কথা, প্রকৃত বিজেপি কর্মী-সমর্থক নন, তাঁদের চিহ্ণিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ তাঁছাড়া, পুলিশ ইতিমধ্যেই সন্ত্রাসের ঘটনায় ধরপাকড় শুরু করেছে ৷ তাঁদের রাজনৈতিক পরিচয় খুব শীঘ্রই জনসমক্ষে চলে আসবে ৷ তিনি দৃঢ়তার সাথে জানান, সিপিএম কিংবা কংগ্রেস থেকে যারা বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন, তাঁরাই ত্রিপুরাকে অশান্ত করার ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন ৷ কিন্তু, কিছুদিনের মধ্যে তাঁদের চিহ্ণিত করা হবে ৷ তিনি হুশিয়ারী দিয়ে বলেন, সন্ত্রাসের সাথে যুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷