নিজস্ব প্রতিনিধি, চুড়াইবাড়ি, ১৭ মে৷৷ আবারো অগ্ণিদগ্দ হয়ে মৃত্যু নববধুর৷ এই ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে উত্তর জেলার কদমতলা থানাধীন ইছাই লালছড়া এলাকায়৷ ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, ছ মাস পূর্বে কদমতলা থানা দিন ইছাই লালছড়ার বাসিন্দা যুবেল হোসেন ইসলামিক শাস্ত্রমতে কদমতলা থানাধীনের কালা গাঙ্গেরপার গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩ নং ওয়ার্ডের সাদিকা সুবানির সাথে বিয়ে হয়৷

বিয়ের কিছু দিন ঠিকঠাক চললেও তারপর থেকে শুরু হয় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কলহ ও মানসিক নির্যাতন এমনটাই সাদীরার বাবার বাড়ির আত্মীয় পরিজনদের অভিযোগ৷ অবশেষে গতকাল সন্ধ্যাবেলা সাদিকা সুবানির স্বামীর ঘর থেকে তার বাবার বাড়িতে খবর যায় যে, উনাদের মেয়ে গায়ে আগুন দিয়েছে৷ তড়িঘড়ি সাদিকার বাবার বাড়ি আত্মীয় পরিজনরা স্বামীর বাড়িতে এসে স্বামীর বাড়ির লোকজন সহ প্রথমে ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাদিকার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে বহি রাজ্যে রেফার করেন৷ তারপর সাদিকার স্বামীর বাড়ির ও বাবার বাড়ির লোকজন মিলে অসমের মাকুন্দা হাসপাতালে নিয়ে যান৷ সেখানে চিকিৎসক সাদিকার অবস্থা দেখে তার আত্মীয় পরিজনদের বলেন তার শরীর অগ্ণিদগ্দ হয়ে প্রায় ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে৷ তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিলচর রেফার করেন চিকিৎসক৷
আত্মীয় পরিজনরা অগ্ণিদগ্দ সাদীররাকে নিয়ে শিলচরের উদ্দেশে রওনা দিলে মাঝপথেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে নববধূ সাদিকা৷ তারপর সাদিকার মৃতদেহটি তার বাপের বাড়ির লোকজন কদমতলা হাসপাতালে নিয়ে আসে৷ অপরদিকে সাদিকার বাবার বাড়ির লোকজন কদমতলা থানায় সাদিকার স্বামী যুবেল হোসেন ও শাশুড়ির নামে একটি মামলা দায়ের করেন৷ কদমতলা থানার পুলিশ সাদিকার বাবার বাড়ির তরফ থেকে অভিযোগ পেয়ে সাদিকার অগ্ণিদগ্দ মৃতদেহটি কদমতলা হাসপাতালে ময়না তদন্তেতের জন্য নিয়ে আসে৷
ময়না তদন্তের পর সাদিকার মৃতদেহটি তার বাবার বাড়ির আত্মীয় পরিজনদের হাতে তুলে দেয় কদমতলা থানার পুলিশ৷ পাশাপাশি কদমতলা থানার পুলিশ মামলািিট হাতে নিয়ে তদন্তে নেমে পড়েছে৷ এদিকে এস ডি পি ও রাজিব সূত্রধর জানিয়েছেন, অভিযোগের উপর ভিত্তি করে উনারা ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্ত করে দেখছেন৷ অপরদিকে সাদিকার বাবার বাড়ির আত্মীয়-পরিজনদের অভিযোগ স্বামী যুবেল হোসেনের পরিবার ও শাশুড়ি মিলে গায়ে কেরোসিন ঢেলে তাদের মেয়ে সাদিকাকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে৷জানা গেছে সাদিকার স্বামী যুবেল হোসেন কর্মসূত্রে বহি রাজ্য থাকেন গত দু-তিন দিন পূর্বে পুনরায় কর্মসূত্রে বহি রাজ্যে চলে গিয়েছেন৷ এখন দেখার বিষয় পুলিশি তদন্তে কি বেরিয়ে আসে এটা হত্যা না আত্মহত্যা৷