ফলাফল ঘোষিত অসমের মাধ্যমিক ও হাইমাদ্রাসা পরীক্ষার, পাশের হার বেড়ে ৬০.২৩ শতাংশ

গুয়াহাটি, ১৫ মে (হি.স.) : উৎকণ্ঠার অবসান ঘটিয়ে ২০১৯ সালের হাইস্কুল ও হাইমাদ্রাসা পরীক্ষার ফলাফল  বুধবার সকাল নয়টায় ঘোষণা করেছে অসম মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ (সেকেন্ডারি এডুকেশন বোর্ড অব আসাম বা সেবা)। প্রত্যাশা মতো সেবা প্রকাশিত মাধ্যমিক পরীক্ষায় গতবারের চেয়ে এবার পাশের হার কিছুটা বেড়েছে। এবার সামগ্ৰিকভাবে পাশের হার গত দু বছরের চেয়ে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০.২৩ শতাংশ। গত দু বছর যথাক্রমে ২০১৭ সালে ৪৭.৯৪ শতাংশ এবং ২০১৮ সালে ছিল ৫৬.০৪ শতাংশ। এছাড়া গতবারের মতো পাশের হার ছাত্ৰীদের চেয়ে ছাত্রদের সামান্য বেশি। ছাত্ৰ ৬২.৬৯ এবং ছাত্ৰীদের পাশের হার ৫৭.৯৯ শতাংশ।

এবার মাধ্যমিকে শীৰ্ষস্থান দখল করেছে অখিল ভারতীয় শিক্ষা সংস্থান বিদ্যাভারতী পরিচালিত শিশুশিক্ষা সমিতি অসমের অধীনস্থ লখিমপুর জেলার নারায়ণপুর  শংকরদেব শিশু বিদ্যানিকেতনের ছাত্রী মেঘাশ্ৰী বরা। তার প্রাপ্ত নম্বর ৫৯৪। এছাড়া প্রথম মেধাবী তালিকায় স্থান লাভ করেছে মোট ৩৯ জন ছাত্ৰছাত্ৰী। এবার গুয়াহাটি মহানগরের মাত্ৰ চারজন প্রথম মেধা তালিকায় স্থান লাভ করেছে। তাদের মধ্যে বেসরকারি সেন্ট মেরিজ হাইস্কুলের তিন এবং অসম জাতীয় বিদ্যালয়ের একজন। এবারও সরকারি স্কুলগুলি হতাশ করেছে।

অন্যদিকে হাইমাদ্ৰাসার পরীক্ষায় গোয়ালপাড়া জেলার রাখালডুবি হাইমাদ্ৰাসার সেলিম অহমেদ ৫৬১ নম্বর পেয়ে প্রথম, দ্বিতীয় দরং জেলার পিপড়াকুচি আঞ্চলিক হাইমাদ্ৰাসার আব্দুল আজিজ (৫৫৩ নম্বর), তৃতীয় স্থান দখল করেছে গোয়াপাপাড়া জেলার আমবাড়ি কাৰ্তিমারি হাইমাদ্ৰাসার ইলিয়াস আলি (৫৪৭ নম্বর), সেলিম আহমেদ ৫৬১ নম্বর পেয়ে মেধা তালিকায় স্থান লাভ করেছে। হাইমাদ্রাসা চূড়ান্ত পরীক্ষায় অবতীৰ্ণ ৯,১২৭ জন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে পাশ করেছে ৫,৩১০ জন। পাশের হার ৫৮.১৮ শতাংশ। তাদের মধ্যে ছাত্ৰ ৬০.৮০ এবং ছাত্ৰীদের পাশের হার ৫৬.৪১ শতাংশ।

অন্যদিকে মাধ্যমিকে সাফল্যের দাপট সরকারি বিদ্যালয়ের থেকে বেসরকারি স্কুলগুলি দেখিয়েছে। একইভাবে গতবারের মতো এবারও শহরাঞ্চলকে পিছনে ফেলে দাপিয়েছে রাজ্যের মফসসল অঞ্চলের ছাত্রছাত্রীরা। সেবা সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষায় অবতীৰ্ণ হতে আবেদনপত্র জমা দিয়েছিল ৩,৪২,৬৯১ জন। কিন্তু পরীক্ষা দিয়েছে ৩,৩৬,২০৩ জন ছাত্রছাত্রী। তাদের মধ্যে পরীক্ষার হল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছে ৩৯৬ জন এবং ১০ জনের ফল নানা কারণে প্রকাশ করা হয়নি। ৩,৩৬,২০৩ জন পরীক্ষাৰ্থীর মধ্যে ৪৮,৫,৯৯ জন প্ৰথম, ৭১,০২০ জন দ্বিতীয় এবং ৮২,৮৮৯ জন তৃতীয় স্থান লাভ করেছে। মোট পাশ করেছে ২,০২৫,০৪ জন। মেধা তালিকার প্রথম দশে জেলা ভিত্তিক ফাফল এ-রকম, লখিমপুরে চার, যোরহাটে এক, কামরূপ মহানগরে (গুয়াহাটি) চার, কামরূপে (গ্রামীণ) পাঁচ, নগাঁওয়ে আট, বাকসায় দুই, ডিব্ৰুগড়ে দুই, গোলাঘাটে দুই, বরপেটায় চার, শিবসাগরে দুই, নলবাড়িতে তিন, দরঙে এক।