নিজস্ব প্রতিনিধি, চুরাইবাড়ি, ১৩ মে৷৷ চূড়ান্ত অবহেলার শিকার এইচ আই ভি আক্রান্ত এক মহিলা৷ত্রাতার ভূমিকায় সংঘদ্বীপ নামক এনজিও সংস্থা৷ ঘটনার বিবরণে জানা যায়, কদমতলা থানা দিন ইচ্ছাই লালছড়া এলাকার এক গৃহবধূ এইচ আই ভি তে আক্রান্ত হয়ে চার দিন ধরে কদমতলা গ্রামীণ হাসপাতাল ভর্তি ছিল৷ এইচআইভিতে আক্রান্ত রোগীর স্বামী তার স্ত্রীকে কদমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চলে যায়৷ তারপর স্বামীর কোন খোঁজখবর নেই৷ তার বাড়ির গিয়ে খোঁজখবর করলে জানা যায় স্বামী ঘরে তালা দিয়ে দুই সন্তানকে নিয়ে কোথাও চলে গেছে৷
চারদিন প্রচন্ড অযত্ন অবস্থায় নোংরার মধ্যে পড়ে থাকার পর এইডস এর উপর কাজ করা সংঘদ্বীপ নামক এনজিও সংস্থার সদস্যরা যোগাযোগ করেন কদমতলা গ্রামীণ হাসপাতালের এম ও আই সি অরুনাভ চক্রবর্তীর সাথে৷ এম ও আই সি এর সহযোগিতায় এনজিও সংস্থার সদস্যরা এইচআইভিতে আক্রান্ত মহিলাকে ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসেন৷ কিন্তু জেলা হাসপাতালে আসার পরও রোগীকে পরিষ্কার করার মতো কোন মানুষ নেই৷
অনেক দৌড়াদৌড়ির পর টাকা দিয়েও পরিষ্কারের জন্য এক জনের বেশি মানুষ পাওয়া যায়নি৷ অবশেষে নর্দমার মতো পরিবেশে চূড়ান্ত অবহেলায় পড়ে থাকতে হয় এইচআইভি আক্রান্ত রোগীকে৷ হয়তোবা কিছুদিনের মধ্যেই নরককুণ্ড থেকে চিরতরে বিদায় নেবে দুই সন্তানের জননী৷ সরকার যতই এইডস সংক্রামক রোগ নয় বলে কোটি কোটি টাকা সচেতনার জন্য ব্যয় করুক কিন্তু বাস্তবে ছিল তার ভিন্ন চিত্র৷ পূর্বে সরকার থাকাকালীন সময়ে এইডস কন্েন্টাল নামক শুধু লম্বা ভাষণ ছিল,বর্তমানে সেটাই রয়ে গেছে৷ সুতরাং সচেতনতার কোন মূল্য নেই৷
উল্লেখযোগ্য যে বিগত চার দিন কদমতলা গ্রামীণ হাসপাতাল চূড়ান্ত অবহেলায় পড়ে থাকা এইচআইভিতে আক্রান্ত রোগীকে নিয়ে কোন বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি কদমতলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, অবশেষে তার পাশে এসে দাঁড়ালো সংঘদ্বীপ নামক এনজিও সংস্থা৷তবে রোগীর শরীরে পচন ধরে গিয়েছে৷
এদিকে নানা মহলে একটাই প্রশ্ণ,কোন এইচআইভিতে আক্রান্ত রোগী চিকিৎসার অবহেলায় যেন মৃত্যু না হয়৷অপরদিকে এই ঘটনা নিয়ে কদমতলা গ্রামীণ হাসপাতালের এম ও আই সি অরুণাভ চক্রবর্তীর সাথে যোগাযোগ করলে উনি সাফ জানিয়ে দেন এই ব্যাপারে তিনি মুখ খুলতে রাজি নন৷