নির্বাচন আধিকারীকদের বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ শিক্ষক সংঘের

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১০ মে৷৷ মাইক্রো অবজারভারদের অযথা হয়রানির জন্য ত্রিপুরা পশ্চিম আসনে রিটার্নিং অফিসার এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসারের বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ জানিয়েছে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সংঘ৷ তাঁদের ওপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার অজুহাতে মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে বলে শিক্ষক সংঘ মুখ্য নির্বাচন আধিকারিককে চিঠি দিয়েছে৷জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা মোতাবেক গ্রুপ-সি পদমর্যাদার নিচুস্তরের কর্মীকে মাইক্রো অবজারভার হিসেবে নিযুক্ত করা যাবে না৷ শিক্ষক সংঘের অভিযোগ, গ্রুপ-ডি কর্মীদেরও নির্বাচনে মাইক্রো অবজারভার হিসেবে নিযুক্তি দেওয়া হয়েছে৷ তাঁরা শিক্ষক এবং অধ্যাপকদের সঙ্গে একসাথে কাজ করেছেন৷

শিক্ষক সংঘ ত্রিপুরার মুখ্য নির্বাচন আধিকারিককে লেখা চিঠিতে ক্ষোভ ব্যক্ত করে বলেছে, নির্বাচনী প্রক্রিয়া ভীষণ ত্রুটিপূর্ণ ছিল৷ তাতে, জনমনে বিভ্রান্তিও ছড়িয়েছে৷ শিক্ষক সংঘের দাবি, রিপোর্ট তৈরির জন্য নির্বাচন কমিশন যে ছক দিয়েছে তাতে মাইক্রো অবজারভারদের জন্য ওয়েব কাস্টিং নিয়ে কোনও মন্তব্য করার জায়গা ছিল না৷ অথচ নির্বাচনে দেখা যাচ্ছে, ওয়েব কাস্টিং বা ভিডিওগ্রাফিকে ভীষণ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে৷ শিক্ষক সংঘের আরও অভিযোগ, মাইক্রো অবজারভারদের ওয়েব কাস্টিং নিয়ে সঠিক প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়নি৷ এদিকে, শিক্ষক সংঘের তরফে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও ত্রিপুরার মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে৷ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় যথেষ্ট ত্রুটি ছিল, শিক্ষক সংঘ এই দাবি করেছে৷


শিক্ষক সংঘের বক্তব্য, রিটার্নিং অফিসার এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসারের গাফিলতির জন্য এখন মাইক্রো অবজারভাররা মানসিক অবসাদে ভুগছেন৷ তাঁদের ঘাড়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার খড়্গ ঝুলছে৷ শিক্ষক সংঘ বলেছে, ভোটে কারচুপি এবং রিগিঙের অভিযোগ এনে বেশ কয়েকজন মাইক্রো অবজারভারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়েছে৷ এমন-কি কয়েকজনকে সাময়িক বরখাস্তও করা হয়েছে৷ নির্বাচনী প্রক্রিয়ার গরমিলের জন্য পশ্চিম আসনে রিটার্নিং অফিসার এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শিক্ষক সংঘ ত্রিপুরার মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের কাছে দাবি জানিয়েছে৷