নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১০ মে৷৷ সংঘবদ্ধ হামলায় দুই ব্যক্তি গুরুতর ভাবে আহত হয়েছে৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে যুবরাজনগরের মঙ্গলখালি৷
যুব রাজনগর বিধানসভা এলাকায় সংখ্যালঘু অধ্যুষিত গ্রাম মঙ্গলখালী৷ কমিউনিস্টদের উর্বর জমি ছিল৷ এক সময় এই এলাকার সংখ্যালঘুদের মধ্যে সবাই ছিল বামফ্রন্ট সমর্থক৷

পরিবর্তনের পর বেশ কিছু সংখ্যালঘু শিক্ষিত পরিবার বিজেপি দলের সমর্থক হয়৷ যুবরাজনগর বিদ্যালয়ের শিক্ষক রফিকুদ্দিনকে মসজিদের দায়িত্বে রাখা হয়৷ তা কোন মতেই মেনে নিতে পারেনি মঙ্গলখালির কট্টরপন্থী বামপন্থী সমর্থকরা৷ প্রাক্তন সদস্য সদস্যা, প্রধান, উপপ্রধান প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করে এবং দেখে নেওয়ার হুমকী দেয়৷ এলাকার বরিষ্ট বামপন্থী সমর্থক আব্দুল মুসাবীর চৌধুরী জানায়, মঙ্গলখালিতে থাকতে হলে বিজেপি করা চলবে না৷
শুক্রবার দুপুর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাময়িক বাকবিতন্ডা হয়৷ সন্ধ্যার পর ইফতার শেষ করে বড় নামাজ আদায় করে মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময়ফিদার আহমেদ (৩৫), কবির আহমেদ (৩২), শিবির আহমেদ (৩৬) এবং আজিরুদ্দিন দা, লাঠি নিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের উপর আক্রমণ করে৷ তাতে বেজারুদ্দিন (৪২) এবং নাজিমুদ্দিন (৩৯) গুরুতর আহত হন৷ তাদের উত্তর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ বেজারুদ্দিনের মাথা ও কপালে মোট ত্রিশটি সেলাই দেওয়া হয় এবং নাজিমুদ্দিনকে ২০টি সেলাই দেওয়া হয়৷ তাদের অভিযোগ বিজেপি করার দায়ে তাদেরকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল৷ রাত এগারটায় সংবাদ লেখা পর্যন্ত এলাকাজুড়ে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে৷ পুলিশ টহলদারী চালিয়ে যাচ্ছে৷ তবে কাউকেই গ্রেপ্তার করা হয়নি৷