নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১০ মে৷৷ দীর্ঘ ৯ বছর পর ফের চালু হচ্ছে পাশ-ফেল প্রথা৷ পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে এই প্রথা চালু হবে৷ তাতে পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে তবেই পরবর্তী ক্লাশে যেতে পারবে৷ রাজ্যে পাশ-ফেল প্রথা চালু করার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে রাজ্য সরকার, এ-কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ৷ ১ এপ্রিল ২০১০ থেকে তুলে দেওয়া হয়েছিল পাশ-ফেল প্রথা৷ শিক্ষার অধিকার আইনে সকলের জন্য শিক্ষা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার৷ কিন্তু, পাশ-ফেল প্রথা তুলে দেওয়ায় বহু ছাত্রছাত্রীর ক্ষতি হয়েছে, একাধিক সমীক্ষায় তা প্রমাণিত৷ এই প্রথা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে কেরালা, হরিয়াণা, দিল্লি-সহ একাধিক রাজ্য এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে৷

তেমনি, মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক-সহ কয়েকটি রাজ্য এই সিদ্ধান্তে স্বাগত জানিয়েছিল৷ স্বাভাবিকভাবেই, এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সারা দেশেই মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়ছে৷তবে, পাশ-ফেল প্রথা তুলে দেওয়ার মূল উদ্দেশ্যে পৌছাতে ব্যর্থতাই হাতে এসেছে৷ ফলে, ফের পাশ-ফেল প্রথা চালু করার বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে ভাবতে হয়েছে৷ গত বছর লোকসভা এবং রাজ্যসভায় পাশ-ফেল প্রথা চালুর করার জন্য শিক্ষার অধিকার আইনে সংশোধনী পাশ হয়েছে৷
ত্রিপুরার শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথের কথায়, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ থেকেই ফের বিদ্যালয়গুলিতে পাশ-ফেল প্রথা চালু করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে৷ পঞ্চম শ্রেণি এবং অষ্টম শ্রেণিতে এই প্রথা চালু হবে৷ তাতে, প্রথম শ্রেণি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত এবং ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের শুধু মূল্যায়ন করা হবে৷ তাদের কোনও পরীক্ষা দিতে হবে না৷ কিন্তু, পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষায় পাশ হলে তবেই পরবর্তী ক্লাশে উত্তীর্ণ হতে পারবে৷তাঁর বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকার শিক্ষার অধিকার আইন সংশোধন করেছে৷ তাতে, পাশ-ফেল প্রথা চালু করার বিষয়ে রাজ্যগুলিকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে৷ তিনি বলেন, দেশে পাশ-ফেল প্রথা চালু হয়ে গিয়েছে৷ এখন আমরা ইচ্ছা করলেই তা রাজ্যেও চালু করতে পারি৷ তাই, চিন্তাভাবনা শুরু করেছি৷ তাঁর কথায়, লোকসভা নির্বাচনের প্রক্রিয়া সমাপ্ত হলেই এ-বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার৷

