
পটনা, ১৭ এপ্রিল (হি. স.) : বুধবার আরজেডি (রাষ্ট্রীয় জনতা দল)-র প্রধান লালুপ্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী। তিনি দাবি করেছেন, পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় অরুণ জেটলি তাঁকে সাহায্যের জন্য রাজি হয়েছেন কিনা তা জানতে চেয়েছিলেন আরজেডির চেয়ারম্যান। এমনকি বদলে নীতিশ সরকারের পতনও চেয়েছিলেন লালুপ্রসাদ যাদব, এমন মন্তব্যই করলেন সুশীল মোদী। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টে গত ১০ এপ্রিল প্রধান বিচারপ্রতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে একটি বেঞ্চ কয়েক কোটি টাকার পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় আরজেডি প্রধান ও বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল।
এদিন পটনায় একটি সাংবাদিক সম্মেলনে লালুপ্রসাদের বিরুদ্ধে এমনই মন্তব্য করে বিজেপি নেতা ও বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী বলেছেন, \”ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টে লালুপ্রসাদ যাদবের পক্ষে রায় হয়েছিল যে, পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলা সহ অন্যান্য মামলায় শুনানির প্রয়োজন নেই। সিবিআই এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায়। সিবিআই যখন সর্বোচ্চ আদালতে গিয়েছিল, তখন প্রেম গুপ্তা নামে এক ব্যক্তি মারফত অরুণ জেটলির কাছে নিজের বার্তা পাঠান লালুপ্রসাদ। তিনি জানিয়েছিলেন, এই মামলায় সিবিআই যাতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ না হয়। এ বিষয়ে সাহায্য পেলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিতিশ কুমারের আরোগ্য করে দেওয়ার কথাও ছিল তাঁর বার্তায়। পরে লালুপ্রসাদ যাদব ও তাঁর বার্তাবাহক প্রেম গুপ্তা দুজনেই অরুণ জেটলির সঙ্গে সাক্ষাত করেন এবং বিহারে নীতিশ কুমার সরকারের পতনের প্রস্তাব দেন। এরপর অরুণ জেটলি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সিবিআইয়ের মতো একটি স্বয়ংশাসিত প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে তিনি হস্তক্ষেপ করতে পারেন না।\” দোষী সাব্যস্ত হওয়া সত্ত্বেও আরজেডি নেতা লালুপ্রসাদের বিরুদ্ধে নির্বাচনে টিকিট বিতরণ পরিচালনা করার অভিযোগও আনা হয়েছে। এদিন সুশীল মোদী আরও বলেন, \”জেল থাকা অবস্থাতেও বিহারের রাজনীতিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন লালুপ্রসাদ যাদব। হাসপাতালে (হেফাজতে থাকাকালীন) থেকেও দলের কার্যকলাপ সবকিছু পরিচালনা করেন তিনি।
“উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালে লালুপ্রসাদ যাদব বিহারের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটে যার সঙ্গে সরকারি তহবিল তছরুপের বিষয়টিও জড়িত। ঝাড়খণ্ডে অবস্থিত দেওঘর, দুমকা এবং চাইবাসার দুটি সরকারি তহবিল থেকে অর্থ তছরূপের জন্য তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। বর্তমানে দোরান্দা ট্রেজারি সম্পর্কিত আরেকটি পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় বিচার চলছে তাঁর এবং একইসঙ্গে গত কয়েক মাস ধরে রাঁচির রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সাইন্সেস (আরআইএমএস)-এ চিকিৎসাধীন রয়েছেন।