নয়াদিল্লি, ১২ এপ্রিল (হি.স.): প্রাক্তন উচ্চশিক্ষামন্ত্রী তথা বিজেপি নেত্রী স্মৃতি ইরানির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে কটাক্ষ করলেন জাতীয় কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী। শুক্রবার একটি সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “একটি নতুন টেলিভিশন ধারাবাহিক আসতে চলেছে- ‘কিঁউকি মন্ত্রী ভি কভি গ্র্যাজুয়েট থি’। বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় হলফনামায় স্মৃতি জানিয়েছেন, ১৯৯৩-এ দিল্লির হোলি চাইল্ড অক্সিলিয়াম স্কুল থেকে উচ্চ-মাধ্যমিক পাশের পরের বছরে তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের করেসপন্ডেন্স কোর্সে বি কম-এ ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু, লেখাপড়া শেষ করতে পারেননি। আর তারপর থেকেই তাঁকে নিয়ে শুরু হয়েছে বিরোধীদের কটাক্ষ, এমনকি সোশ্যাল মিডিয়াতেও চলছে ট্রোলিং।

নয়াদিল্লিতে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে কংগ্রেস নেত্রী ও ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে কটাক্ষ করে বলেন, “এবার একটি নতুন টিভি সিরিয়াল আসতে চলেছে- ‘কিঁউকি মন্ত্রী ভি কভি গ্র্যাজুয়েট থি’, যার শুরুর লাইন হবে- ‘কোয়ালিফিকেশনস কে ভি রূপ বদলতে হ্যায়, নয়ে নয়ে সানচে মে ঢলতে হ্যায়, এক ডিগ্রি আতি হ্যায়, এক ডিগ্রি যাতি হ্যায়, বনতে এফিডেভিট নয়ে হ্যায়।'” বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে পাশে নিয়ে, গেরুয়া পোশাকে অনেক সঙ্ঘ ও বিজেপি কর্মী, নাচের দল সবকিছু নিয়ে বর্ণাঢ্য মিছিল করে জেলা সদর গৌরীগঞ্জে মনোনয়ন জমা দেন আমেঠির বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানি।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০০৪-এর লোকসভা নির্বাচনে মনোয়নের সঙ্গে হলফনামায় স্মৃতি জানিয়েছিলেন, ১৯৯৬ সালে তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এ. পাশ করেছেন। আবার রাজ্যসভা নির্বাচনে গুজরাত থেকে প্রার্থী হওয়ার সময়ে তিনি যে হলফনামা দিয়েছিলেন, তাতে তিনি বি.কম. পার্ট ওয়ান পাশ বলে উল্লেখ করেছিলেন। ২০১৬ সালে আহমের খান নামে এক জন দিল্লির আদালতে অভিযোগ করেন, নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে এক-এক বার এক-এক রকম হলফনামা দিয়ে বেআইনি কাজ করেছেন ইরানি। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে কটাক্ষ করে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী এদিন বলেছেন, “স্মৃতি ইরানি নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে একটি কাজ করে দেখিয়েছেন যে, কিভাবে গ্র্যাজুয়েট থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর হয়ে যাওয়া যায়। এটা একমাত্র মোদী সরকার থেকে আর মোদীর সরকারেই সম্ভব।”