নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ মার্চ৷৷ রাজ্যের দুটি লোকসভা নির্বাচন ক্ষেত্রের ভোটপর্ব ও শান্তিপূর্ণভাবে অতিবাহিত করতে নির্বাচন দপ্তর প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে৷ সোমবার রাজ্য অতিথিশালায় নির্বাচন কমিশনের সচিব অরবিন্দ আনন্দ এর উপস্থিতিতে সর্বদলীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে৷ সোমবার তিনজন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকও রাজ্যে আসছেন৷ তাদের মধ্যে দুজন পশ্চিম ত্রিপুরা সাধারণ আসনের পর্যবেক্ষক এবং একজন পূর্ব ত্রিপুরা উপজাতি সংরক্ষিত আসনের পর্যবেক্ষক৷ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারীক শ্রীরাম তরণীকান্তি রবিবার সন্ধ্যায় অফিস কক্ষে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানান৷ তিনি আরও বলেন, নির্বাচন পর্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন শুরু হয়েছে৷ সাংবাদিকদের এক প্রশ্ণের উত্তরে তিনি জানান, আচরণবিধি লঙ্ঘণ সংক্রান্ত কিছুকিছু অভিযোগ আসছে সেগুলি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে৷ তবে, এগুলি খুব বেশী গুরুতর নয় বলেও তিনি উল্লেখ করেন৷

এদিকে, আগামীকাল ১-পশ্চিম ত্রিপুরা সংসদীয় নির্বাচনী ক্ষেত্রের বি’প্তি জারী হবে৷ এই সংসদীয় নির্বাচনী ক্ষেত্রের ভোটগ্রহণ করা হবে ১১ এপ্রিল, ২০১৯৷ মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন হচ্ছে ২৫ মার্চ, ২০১৯৷ ২৬ মার্চ, ২০১৯ মনোনয়ন পত্রগুলি পরীক্ষা করে দেখা হবে৷ মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন হচ্ছে ২৮ মার্চ, ২০১৯৷ আজ সন্ধ্যায় মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের অফিস কক্ষে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক শ্রীরাম তরুণীকান্তি এই সংবাদ জানান৷ সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি আরও জানান, ২-পূর্ব ত্রিপুরা সংসদীয় নির্বাচনী ক্ষেত্রের (এস টি) বি’প্তি জারী হবে ১৯ মার্চ, ২০১৯৷ এই সংসদীয় নির্বাচনী ক্ষেত্রের ভোটগ্রহণ করা হবে ১৮ এপ্রিল, ২০১৯৷ মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ২৬ মার্চ, ২০১৯৷ মনোনয়ন পত্রগুলি পরীক্ষা করে দেখা হবে ২৭ মার্চ, ২০১৯৷ মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন হচ্ছে ২৯ মার্চ, ২০১৯৷
সাংবাদিকদের এক প্রশের উত্তরে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক শ্রীরাম তরুণীকান্তি জানিয়েছেন, সুুষ্ঠ ও অবাধ নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে৷ নির্বাচনী প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে নির্বাচন কমিশনের সচিব অরবিন্দ আনন্দ আজ রাজ্যে এসে পৌঁছেছেন৷ সাংবাদিক সম্মেলনে বিশেষ নির্বাচন আধিকারিক প্রমথ রঞ্জন ভট্টাচার্য, অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক উষাজেন মগও উপস্থিত ছিলেন৷

