নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৫ মার্চ৷৷ বাড়িতে পাশাপাশি বাড়ি একই ক্লাসে পাঠরত ১০ বছর বয়সের দুই বন্ধু রাজদ্বীপ নাথ ও সৌরভ নাথ৷ পাশাপাশি বাড়ি, একই সাথে বেড়ে ওঠে, এদের বেড়াতে যাওয়ার পছন্দও ছিল অনেকটা একই রকমের৷ রাজদ্বীপের বাবা দীলিপ নাথ পেশায় অটোচালক, সৌরভের বাবা পঙ্কজ নাথ৷ রাজদ্বীপের মামার শ্বশুর শ্বাশুরি বেড়াতে গিয়েছিল৷ আসার সময় আহ্লাদের রাজদ্বীপকে শুক্রবার নিয়ে আসে তাদের বাড়ি ধর্মনগর ধানাধীন ইচ্ছাই নালছড়ার লালছড়াতে৷ সঙ্গে রাজদ্বীপের একান্ত বন্ধু সৌরভও আসে৷ কে জানত যে এই বেড়ানোই এদের জীবনের শেষ বেড়ানো৷

শুক্রবার সকালেই বাড়ির সবার অলক্ষে দুই বন্ধু মিলে মামার শ্বশুরবাড়ির পুকুরে স্নান করতে নামে৷ কেউই সাতার জানত না৷ বেশ সময় ধরে এদেরকে খঁুজে না পাওয়ায় সবদিকে খোঁজ পড়ে যায়৷ হঠাৎ করে এলাকার মাুষের চোখে পড়ে পুকুরে দুটি দেহ ভেসে ওঠেছে৷ সাথে সাথে পুকুরে নেমে দুটি মৃতদেহ তুলে এনে পুকুরের পাশেই শুইয়ে রাখা হয়৷ বা মামাকে খবর না দিয়ে দুপুর ২টার দিকে রাজদ্বীপের বাবা দীলিপ নাথকে তারাা ফোন করে৷ তখন দীলিপ নাথ ধর্মনগরে অটো নিয়ে ছিল৷ সাথে সাথে গিয়ে দুটি মৃতদেহকেই জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে৷ আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানা ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়েছে৷ কান্নায় লুটিয়ে পড়ে সবাই৷ সৌরভের বাবা পঙ্কজ নাথ জানায় ঘটনাস্থল থেকে কদমতলা ধর্মনগর রাস্তার দূরত্ব ৫০ মিটারের বেশি নয়, তবে কেন এরা হাসপাতালে নিয়ে আসল না৷ এদিকে বার বার ধর্মনগর থানায় যাওয়ার পরও পুলিশ আসে না৷ এতে চিকিৎসকরা ময়না তদন্ত করে মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দিতে পারছে না৷ আড়াই ঘন্টা অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও ধর্মনগর থানার সময় হয়নি হাসাপাতালে যাওয়ার৷ এক অসহনীয় পরিস্থিতির শিকার সন্তান হারানো দুটি পরিবার ধর্মনগর থানার অপদার্থতার কারণে৷