নয়াদিল্লি, ১৩ মার্চ (হি.স.): প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকেই রাফাল চুক্তির ফাইল ‘চুরি গিয়েছে’। সুপ্রিম কোর্টে কিছুদিন আগেই এই কথা স্বীকার করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মতো সুরক্ষিত জায়গা থেকে কী ভাবে ফাইল চুরি হল, সেই প্রশ্ন তুলে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে চেপে ধরেছিল বিরোধীরা। এরপরই অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল জানান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে রাফালের নথি আদৌ চুরি হয়নি। তিনি সুপ্রিম কোর্টে বলতে চেয়েছিলেন যে, মামলাকারীরা তাঁদের আবেদনের সঙ্গে মূল নথির ফোটোকপি ব্যবহার করেছিলেন। রাফাল নথি চুরির বিষয়ে বিজেপি ও মোদী সরকারকে লাগাতার তুলোধোনা করছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে কোণঠাসা করতে রাফাল অস্ত্রকেই ক্রমশ শান দিচ্ছে কংগ্রেস ও তৃণমূল। এমতাবস্থায় ১৪ মার্চ এ বিষয়ে ফের শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে।

প্রসঙ্গত, রাফাল যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরব কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা। যদিও, ২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর ফ্রান্স ও ভারতের মধ্যে রাফাল চুক্তিতে তদন্তের দাবি খারিজ করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট রাফাল নিয়ে জানায়,৩৬টি রাফাল জেট কেনার সিদ্ধান্তে কোনও ভুল ছিল না। এই রায়ের পরই কেন্দ্রীয় সরকার উৎফুল্ল হয়ে ওঠে। এই রায়ে স্বস্তি মিললেও ফের সর্ব্বোচ আদালতে মামলা হয়। গত ৬ মার্চ রাফাল রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি সংক্রান্ত শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে। ওই দিন কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে জানানো হয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে চুরি হয়ে গিয়েছে রাফাল চুক্তি সংক্রান্ত নথি। কী করে চুরি হল,তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কেন্দ্রের এই স্বীকারোক্তির পর রাফাল মামলায় নতুন মোড় নিয়েছে। ১৪ মার্চ ফের শুনানি।