নিজস্ব প্রতিনিধি, চুড়াইবাড়ি/ বক্সনগর, ৪ মার্চ৷৷ চুরাইবাড়ি থানাধীন লক্ষীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২ নং ওয়ার্ডে ৭ বছরের নাবালিকা কন্যা ধর্ষিতা৷ এই ঘটনায় লক্ষীনগর এলাকায় ক্ষোভের আগুন ধূমায়িত হচ্ছে৷ আজ বিকাল সাড়ে চারটা নাগাদ গ্রামেরই এক ১৬ বছরের নাবালক ছেলে এই ধর্ষণ কান্ডে ঘটায় বলে অভিযোগ৷ নিজ বাড়ি থেকে তিনশত মিটার দূরে গভীর জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ শিশু কন্যার পরিবারের৷

সঙ্গে সঙ্গে পাশের বাড়ির এক মহিলা দেখতে পেয়ে চিৎকার করেন৷ তারপর বাড়ির লোকজন সহ এলাকাবাসীরা ছুটে যান ঘটনাস্থলে৷ ততক্ষণে অভিযুক্ত নাবালক পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়৷ সঙ্গে সঙ্গেই শিশু কন্যাটিকে কদমতলা গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়৷ চিকিৎসক সন্দীপ দেব প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেন এবং ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে পরিক্ষার জন্য পাঠান৷
অপরদিকে এই বিষয়ে শিশু কন্যারর পরিবার চুরাইবাড়ি থানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন৷ মামলা নং ৫/১৯৷ ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৭৬/৫১১ এবং পক্সো আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করেছে চুরাইবাড়ি থানার পুলিশ৷ এদিকে চুরাইবাড়ি থানার এস আই সাধন মজুমদার জানান, ধর্ষিতা নাবালিকার পরিবারের তরফ থেকে মামলা পেয়ে উনারা তদন্ত শুরু করে দিয়েছেন৷ খুব শীঘ্রই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করবে চুরাইবাড়ি থানার পুলিশ৷ অপরদিকে ধর্ষিতার পিতা ও এক এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, অভিযুক্ত ১৬ বছরের যুবক ৭ বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণ করেছে৷ এই ঘটনা রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে৷
এদিকে, বক্সনগর এ পুটিয়া গ্রামে নাবালিকা গৃহবধূর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে৷ বিয়ের ৪৪ দিনের মাথায় এ ঘটনা ঘটেছে৷ নাবালিকা গৃহবধূর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য এলাকাবাসী দাবি জানিয়েছেন৷ এর পেছনে কি অদৃশ্য শক্তি লুকিয়ে রয়েছে তা নিয়েও কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে৷ নাবালিকা বিয়ে রোধ এবং গৃহবধূ নির্যাতন ও হত্যার বিরুদ্ধে রাজ্য জুড়ে ব্যাপক প্রচার সংগঠিত করা হলেও এ ধরনের কার্যকলাপ অব্যাহত রয়েছে৷ এ ধরনের ঘটনা সভ্য সমাজ ব্যবস্থায় লজ্জাজনক৷