ওয়াশিংটন, ১ মার্চ (হি. স.) : লাদেনের ছেলের হদিশ দিলেই মিলবে এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এমনটাই ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প প্রশাসন। যে দেশেই হামজা বিন লাদেন লুকিয়ে থাকুক না কেন, শুধু একবার খোঁজ দিতে পারলেই পাওয়া যাবে এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

আমেরিকার মতে, ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যুর পর সন্ত্রাসের নতুন মুখ হয়ে উঠেছে তার পুত্র। আর এখন তার লক্ষ্য আমেরিকাকে রক্তাক্ত করা। আর তাই হামজা বিন লাদেনকে অনেকেই সন্ত্রাসের রাজপুত্র বলে থাকেন। হামজা কখনও পাকিস্তানে থেকেছে, কখনও থেকেছে আফগানিস্তানে, আবার কখনও ইরানে গৃহবন্দি অবস্থায় তার দিন কেটেছে। কিন্তু এখন হামজা কোথায়, সেটা কেউ জানে না। তার খোঁজ দিতে পারলেই মিলবে দশ লক্ষ মার্কিন ডলার। বিশ্বের যেকোনও দেশের ক্ষেত্রেই এই প্রস্তাবটি প্রযোজ্য বলে আমেরিকা জানিয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন মনে করে ২০১১ সালে লাদেনকে আমেরিকা যেভাবে খতম করেছিল। তার বদলা নিতেই হামজা মার্কিন মুলুকে আঘাত হানতে চায়।
এমন কাজ যাতে সে না করতে পারে তার জন্যই উদ্যোগ নিচ্ছে আমেরিকা।২০১১ সালের মাঝামাঝি পাকিস্তানে প্রবেশ করে আবোটাবাদের একটি বাড়িতে ঢুকে পড়ে আমেরিকার বিশেষ বাহিনী। তাদের হাতেই মৃত্যু হয় লাদেনের। বাবার মৃত্যুর পর আল কায়দাকে নেতৃত্ব দিতে শুরু করে হামজা। ৩০ বছর বয়সী হামজা বিন লাদেন ২০১৫ সালে অডিও বার্তায় সিরিয়ার জঙ্গিদেরও নিজের দলে টানতে চেয়েছিল। সে সময় হামজা বলেছিল ‘স্বাধীন প্যালেস্তাইন’ গড়তে সিরিয়ান জঙ্গিদের সাহায্য করবে সে। বদলে বাবার মৃত্যুর বদলা নেওয়ার লড়াইয়ে তার পাশে থাকবে সিরিয়ার জঙ্গি সংগঠন। মাঝে প্রকাশ্যে এসেছিল হামজার বিয়ের খবরও। শোনা গিয়েছিল, মহম্মদ আট্টার মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে হামজার। প্রসঙ্গত এই মম্মদ আট্টা ছিল ৯/১১ হামলার অন্যতম পাণ্ডা। সে দিনের বিমান অপহরণের পিছনে এই আট্টাই ছিল মূল।
একটা সময় মনে করা হত ইরানে নিজের মায়ের সঙ্গে থাকে হামজা। তখনই তাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। বছর খানেক আগে ইংল্যান্ডের একটি পত্রিকাকে হামজার এক আত্মীয় জানায়, সে হয়ত আফগানিস্তানে আছে। ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যুর পর থেকেই সন্ত্রাসের নতুন মুখ হয়ে উঠেছে হামজা বিন লাদেন। বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে আমেরিকাকে রক্তাক্ত করাই তার মূল লক্ষ্য। দেশকে নিরাপদ রাখতে এ বার মরিয়া ট্রাম্প প্রশাসন। আর তাই জোরকদমে চলছে ওসামা বিন লাদেনের ছেলে হামজা বিন লাদেনের ডেরার খোঁজ।