নয়াদিল্লি, ২১ ফেব্রুয়ারি (হি.স.): জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় জঙ্গি হামলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নজিরবিহীন আক্রমণ শানালেন কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা। বুধবার রাজধানী দিল্লিতে সৌদি আরবের রাজপুত্রের সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে পুলওয়ামা হামলার প্রসঙ্গে পাকিস্তানের উল্লেখ করেননি প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার এমনই দাবি করেছেন রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা। এদিন কংগ্রেসের সদর দফতরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা দাবি করেন, ‘সৌদি আরবের রাজপুত্রের সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার নিন্দা করার সময় পাকিস্তানের নাম নিতে ভুলে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এমনকি ১৮ ফেব্রুয়ারি এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের আলোচনার কথা বলেন।’
পুলওয়ামা হামলার নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে কার্যত প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধ আক্রমণ জারি রেখে রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বলেন, ‘নারকীয় এই জঙ্গি হামলার পর প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় শোকের ঘোষণা করেননি। নিজের রাজনৈতিক সমাবেশ এবং উদ্বোধনের রাজনীতির কথা মাথায় রেখেই প্রধানমন্ত্রী এমন কাজ করেছেন। ১৬ ফেব্রুয়ারি পালাম বিমানবন্দরে শহিদদের শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এক ঘন্টা দেরিতে পৌঁছন। এই বিষয়ে বিজেপি নেতার আচরণ আরও লজ্জাজনক। বিজেপি নেতা সাক্ষী মহারাজ শহিদ জওয়ানের নিথর দেহের সামনে হেসেছেন। কেরলে গিয়ে কেন্দ্রীয় পর্যটনমন্ত্রী কে জে আলফন্স সেলফি তুলতে ব্যস্ত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী এবং বিজেপি নেতারা নিজেদের আচরণের মধ্যে দিয়ে শহিদ জওয়ানদের অসম্মান করেছেন। পুলওয়ামা হামলার পর গোটা দেশ যখন শোকপ্রকাশ করছে তখন জিম কোর্বেট ন্যাশনাল পার্কে আত্মপ্রচারে ব্যস্ত ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। জঙ্গি হামলার চার ঘন্টার পরও কোনও সার্কিট হাউজে চা, বিস্কুট খেতে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। পুলওয়ামা জঙ্গি হামলায় নিজের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। হামলার পর নিরাপত্তা বিষয়ক কেবিনেট কমিটি বৈঠক ডাকা উচিত ছিল প্রধানমন্ত্রীর।’
পাশাপাশি জঙ্গি হামলায় গোয়েন্দা ব্যর্থতাকে দায়ী করে রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বলেন, ন্যাশনাল সিকিওরিটি এজেন্সি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং সার্বিক গোয়েন্দা ব্যর্থতার দায় প্রধানমন্ত্রীকে নিতে হবে। হামলার আগে জইশ-ই-মহম্মদের তরফ থেকে ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছিল, গোয়েন্দারা তাতে কোনও গুরুত্ব দেয়নি। জওয়ানরা শ্রীনগরে যাওয়ার জন্য এয়ারলিফটের সাহায্য চেয়েছিল। কিন্তু তা তারা পায়নি।