নয়াদিল্লি, ১৮ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর তাঁর বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে গোটা দেশ উত্তাল হয়েছিল। কিন্তু নিজের মন্তব্য থেকে সরে আসতে নারাজ পঞ্জাবের মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা নভজ্যোত সিং সিধু। পাশাপাশি ১৯৯৯ সালে কান্দাহার বিমান অপহরণ কান্ডের পর মাসুদ আজাহারকে মুক্তি দেওয়া প্রসঙ্গে বিজেপিকে খোঁচা দিয়েছে সিধু। অন্যদিকে পঞ্জাবের বিধানসভায় সিধুর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন শিরোমণি আকালি দলের নেতা বি এস মাঝিটিয়া।
পুলওয়ামার জঙ্গি হামলায় ৪২ জন সিআরপিএফ জওয়ানের শহিদ হওয়ার ঘটনায় গোটা দেশ যখন শোকস্তব্ধ। গোটা বিশ্ব যখন এই প্রসঙ্গে ভারতের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। তখনই পাকিস্তানের প্রতি নরম মনোভাব ব্যক্ত করে সিধু বলেছিলেন, কয়েক জন লোকের জন্য গোটা দেশকে দায়ী করাটা ঠিক নয়। এরপরেই গোটা দেশজুড়ে সিধু নিন্দায় মুখর হয় গোটা দেশ। কিন্তু নিজের বক্তব্য থেকে সরে আসতে নারাজ সিধু। সোমবার সিধু বলেন, ‘আমি আমার অবস্থান থেকে সরে আসব না। সন্ত্রাসবাদকে বরদাস্ত করা উচিত নয়। এই হামলার সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের চরব শাস্তি দিতে হবে। যাতে করে আগামী প্রজন্ম কোনও হামলা চালাতে ভয় পায়।’
এই হামলার মূলচক্রী জইশ-ই-মহম্মদে মাসুদ আজারের প্রসঙ্গ তুলে ধরে নাম না করে বিজেপিকে খোঁচা দিয়ে সিধু বলেন, ‘কারা তাকে (মাসুদ আজহার) ১৯৯৯ সালের কান্দাহার কান্ডের সময় ছেড়েছিল? কারা এর জন্য দায়ী? আমাদের লড়াই তাদের সঙ্গে এতে কেন সাধারণ সৈনিকরা প্রাণ হারাবে। এর স্থায়ী সমস্যার সমাধান কেন করা হচ্ছে না?’
এদিন পঞ্জাবের বিধানসভাতেও সিধুর বিরুদ্ধে একযোগে সোচ্চার হয় শিরোমণি আকালি দল এবং বিজেপি বিধায়কেরা। এই প্রসঙ্গে শিরোমণি আকালি দলের নেতা বি এস মাঝেটিয়া বলেন, ‘যে ব্যক্তি (সিধু) মন্ত্রিসভা থেকে পাকিস্তানের পক্ষে কথা বলে, তাঁর বিরুদ্ধে বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ করাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের সেই দাবি মানা হয়নি। অধিবেশন কক্ষের মধ্যে আমাদের বলতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে আমরা কোথায় বলব?’
প্রসঙ্গত, জইশ-ই-মহম্মদ (জেইএম) জঙ্গিদের ফিদায়েঁ হামলায় রক্তাক্ত হয়েছে কাশ্মীর| উরির থেকেও বড় জঙ্গি হামলায় স্তব্ধ গোটা দেশবাসী| জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার অবন্তীপোরায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় এখনও পর্যন্ত ৪২ জন সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে|