BRAKING NEWS

শীর্ষ আদালতের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করার কারণে কেজরিওয়ালের সমালোচনায় বিজেপি

নয়াদিল্লি, ১৪ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : দুর্নীতিপরায়ণ অফিসারদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার দিল্লি সরকারকে না দিয়ে কেন্দ্রের দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। রায় শোনার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর এই আচরণের সমালোচনায় সরব হল বিজেপি।

বৃহস্পতিবার দিল্লিতে দলের প্রধান কার্যালয়ে বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বলেন, ‘কেজরিওয়াল একদিকে শ্রেষ্ঠ প্রশাসনিক পরিষেবা প্রদানের দাবি করছে। অন্যদিক তিনি বলছেন কেন্দ্র এবং সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে সরকার চালাতে দিচ্ছে না। গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী যে ভাষায় সুপ্রিম কোর্টকে আক্রমণ করছে তাতে বিচলিত আমরা। প্রশাসনিক নিয়ম-নীতিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সংবিধানকে বলি দিয়ে অরাজক পরিস্থিতি গড়ে তোলাতে অভ্যস্ত কেজরিওয়াল।’একই ইস্যুতে সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। তিনি বলেন, অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং কংগ্রেস কোনও সাংবিধানিক সংস্থাকে মানে না। নির্বাচন কমিশন, ক্যাগ, সুপ্রিম কোর্ট সহ অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে নিন্দা এরা করেছে। অরাজক পরিস্থিতি এরা তৈরি করেছে। এরা কাউকে বিশ্বাস করে না। লুঠ করতে তারা শাসন করছে। ‘

কেজরিওয়ালের ধরনা নিয়েও কটাক্ষ করেছেন সম্বিত পাত্র। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল গান্ধী, শরদ পাওয়ারের বিরুদ্ধে আগে নিন্দায় সরব হয়েছিল কেজরিওয়াল। এখন তাদেরই হাত ধরেছেন তিনি।দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেত্রী শীলা দীক্ষিতও আপ সুপ্রিমোর পাশে দাঁড়াননি। তিনি বলেন, দিল্লির রাজ্য সরকারের কি ক্ষমতা রয়েছে তা সংবিধানেই বর্ণিত রয়েছে। দিল্লির কোনও অসীম ক্ষমতা নেই। লেফটানেন্ট গভর্নর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ভূমিকা রয়েছে। ঝগড়া কোনও সমস্যার সমাধান হতে পারে না। যদি প্রয়োজন হয় তবে পরিবর্তন করে দেখাক।

প্রসঙ্গত, দুর্নীতিপরায়ণ অফিসারদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে বড় ধাক্কা খায় দিল্লির আপ সরকার। সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ বৃহস্পতিবার নির্দেশ দিয়েছে, দিল্লি সরকার নয়, দুর্নীতিপরায়ণ অফিসারদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার আছে শুধু কেন্দ্রের হাতে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পরই ক্ষুব্ধ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে বললেন, ‘ সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ অগণতান্ত্রিক। দিল্লিবাসীর প্রতি অবিচার। যদি সরকার তার অফিসারদের বদলি না করতে পারে তাহলে সেই সরকার কীভাবে কাজ করবে। যে দলটার ৬৭টা আসন আছে তার কোনও অধিকার নেই, অথচ যে দলটা মাত্র তিনটি আসন পেয়েছে, তার হাতেই সব ক্ষমতা।’ সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে লড়তে আইনি উপায় অবলম্বন করতে চলেছেন তাঁরা বলেও এদিন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন আপ সুপ্রিমো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *