নয়াদিল্লি, ৪ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : সারদা, রোজভ্যালি কান্ডে দোষীদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে শাস্তির দাবিতে সরব হল সিপিআই(এম)। তৃণমূল কংগ্রেসের পাশাপাশি বিজেপিকে কটাক্ষ করে সিপিআই(এম) দাবি করেছে দুইটি দলই জনগণের টাকা লুঠ করছে।সোমবার সিপিআই(এম)-এর তরফ থেকে বিবৃতি জারি করা হয়েছে। তাতে দাবি করা হয়েছে যে জনগণের টাকা যারা লুঠ করেছে তাদের বিজেপি বা তৃণমূলের হতে পারে। তাদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে হবে। এমনকি অভিযুক্তদের সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করতে হবে। জনগণের থেকে যে টাকা লুঠ করা হয়েছে, তা ফিরিয়ে দিতে হবে। সুদ সহ তা ফিরিয়ে দিতে হবে।
২০১৪ সালে চিটফান্ড কাণ্ডের জন্য সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। বিগত পাঁচ বছর ধরে বড়বড় প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্বেও মোদী সরকার বিষয়টি নিয়ে নীরব থেকেছে। এই সময় তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযুক্ত নেতা যেমন সাংসদ মুকুল রায় এবং হেমন্ত শর্মা বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অগ্রাহ্য করে তদন্তের কাজ শ্লথ করে দিয়েছে বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি জনগণের টাকা লুঠ করেছে।পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করে সিপিআই(এম)-র তরফ থেকে ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে নরেন্দ্র মোদী।
এমনকি রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে।
কলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়ির সামনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের আধিকারিকরা আসাকে কেন্দ্র করে কার্যত কলকাতা পুলিশ ও সিবিআইয়ের ‘যুদ্ধ‘-এ উত্তপ্ত কলকাতা। অভিযোগ, আগাম অনুমতি না-নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের আধিকারিকদের এই হানা দেওয়ায় তাদের বাধা দেয় কলকাতা পুলিশ। এরপর শেক্সপিয়র সরণি থানায় যান সিবিআই আধিকারিকরা।সারদাকাণ্ডে কলকাতা পুলিশ কমিশনার সিবিআই-এর নজরে রয়েছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছিল। সেই কারণে রাজীব কুমারের খোঁজ মিলছে না বলেও দাবি করা হয়েছিল এক প্রতিবেদনে। পুলিশ কমিশনারের পাশে দাঁড়িয়ে রবিবার তোপ দাগেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।