বেঙ্গালুরু, ২৮ জানুয়ারি (হি.স.) : বিতর্কে জড়ালেন কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া। সোমবার মাইসোরে একটি জনসভায় এক মহিলার সঙ্গে অশালীন আচরণ করায় তাকে ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ওই মহিলার প্রশ্নের ফাঁকে তার হাত থেকে মাইক কেড়ে নিতে যান প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময় মহিলার ওড়নাও খুলে যায়। মুহূর্তে ছড়িয়ে যায় সেই দৃশ্য। আর তারপর থেকেই শুরু হয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক। কংগ্রেসে মহিলাদের সম্মান কোথায় গিয়ে নেমেছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।সোমবার দুপুরে মাইসোরে একটি পাবলিক মিটিংয়ে কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া কে একাধিক প্রশ্ন করছিলেন ওই মহিলা। মহিলার নাম জামালা। তিনি কংগ্রেসেরই এক কর্মী। হঠাৎই তার হাত থেকে মাইক্রোফোনটি কেড়ে নেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।

সেসময় মহিলার ওড়না খুলে যায়। এব্যাপারে আরেক কংগ্রেস নেতা দীনেশ গুন্ডু রাও জানিয়েছেন, \”উনি ইচ্ছাকৃত একাজ করেননি। অনেক সময় মানুষ খুব উদ্ধতভাবে অনর্গল প্রশ্ন করে গেলে মাইক কেড়ে নিতে হয়, সে সময়ই মাইকের সাথে ওড়না খুলে এসেছে।\” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি নেতা প্রকাশ জাভরেকর ঘটনার নিন্দা ও তীব্র সমালোচনা করে জানিয়েছেন, \”সিদ্দারামাইয়া মহিলাদের অসম্মান করছেন। ওনাকে কি শাস্তি দেওয়া উচিত, অবিলম্বে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত রাহুল গান্ধীর। সিদ্দারামাইয়া যেরকম অভব্য আচরণ করেছেন ওই মহিলার সঙ্গে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এভাবেই কংগ্রেস মহিলাদের দেখে।\” কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা প্রকাশ জাভরেকর আরও বলেন, \”শুধুমাত্র একটি পরিবারের মহিলা ছাড়া দেশের আর কোনও মহিলাকে সম্মান করতে জানে না। তন্দুর কাণ্ডের পর থেকে একটুও পাল্টায়নি কংগ্রেস।\” জাতীয় মহিলা কমিশন (এনসিডব্লিউ) কর্ণাটক পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল নীলমনি রাজুকে এব্যাপারে তদন্তের আবেদন করেছে। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বলেছেন, \”এটি একটি দুর্ঘটনা। আমি ওই পার্টিকর্মীকে ১৫ বছর ধরে চিনি। কোনও খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না। একটানা ওনার কথা শুনে ওনাকে থামাতে গিয়ে ওই ঘটনা ঘটে যায়।\” অন্যদিকে, জামালা জানিয়েছেন, \”আমার কোনও অভিযোগ নেই এই ঘটনায়। সিদ্ধারামাইয়া সবচেয়ে ভালো মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। আমি টেবিল চাপড়ানোয় উনি আমার রেগে যান। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ওভাবে কথা বলা উচিত হয়নি আমার।\