নিজস্ব প্রতিনিধি,আগরতলা, ২৪ জানুয়ারি : এক তরুণী-সহ তিন ব্যক্তিকে গুরুতর ঘায়েল করে অবশেষে এক গর্তে পড়ে মারা গেছে পাগলা মহিষ। ঘটনা অসমের সীমান্তবর্তী উত্তর ত্রিপুরার কদমতলা থানা এলাকার। আজ পাগলা মোষটির মৃত্যু হওয়ায় হাঁফ ছেড়েছেন এলাকার তটস্থ নগরিককুল।প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, কদমতলা থানা এলাকার বিভিন্ন অঞ্চলে গত কয়েকদিন ধরে মালিকবিহীন একটি পাগলা মহিষ তাণ্ডব চালাচ্ছিল। এভাবে গতকাল বুধবার গভীর রাতে দক্ষিণ কদমতলা গ্রামের চার নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জনৈক আব্দুল হকের বাড়িতে প্রবেশ করে উৎপাত শুরু করে মহিষটি। গৃহকর্তা আব্দুল হক পাগলা মহিষের আগমন ঘটেছে টের পেয়ে ঘর থেকে বের হতেই তাঁর ওপর প্রাণঘাতী হামলা চালায় মোষটি। প্রাণ বাঁচাতে তিনি চিৎকার শুরু করেন। চিৎকার শুনে তাঁর ছেলে জয়নাল উদ্দিন ও মেয়ে নাজমা বিবি বাবাকে রক্ষা করতে ঘর ছুটে আসেন। মহিষটি তাদের ওপরও হামলা চালায়। ঘটে যায় রক্তারক্তি কাণ্ড। পাগল মোষটি আব্দুল হক, তাঁর ছেলে ও মেয়েকে তার শিং দিয়ে গুঁতিয়ে গুরুতর ঘায়েল করেছে।

এদিকে আহতদের চিৎকার ও আতর্নাদ শোনে লাঠিসোঁটা নিয়ে পড়শিরা ছুটে আসলে পাগলা মহিষ দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে রক্তাক্ত তিন আহতের চিকিৎসার জন্য ধর্মনগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অবস্থা সংকটজনক বলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনজনকেই অসমের শিলচরে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন ধর্মনগরের ডাক্তাররা। বর্তমানে তাঁদের শিলচরের ভ্যালি নার্সিং হোমে ভরতি করে চিকিৎসা শুরু হয়েছে।এদিকে তাণ্ডব সৃষ্টিকারী পাগলা মহিষটি আজ বৃহস্পতিবার সকালের দিকে কদমতলা, তারকপুর এবং পিয়ারাছড়া এলাকায়ও ত্রাস সৃষ্টি করে। খবর পেয়ে কদমতলা থানার এসআই বিনোদ দেববর্মা বিশাল পুলিশ ও টিএসআর বাহিনী নিয়ে পিয়ারাছড়া ছুটে যান। সেখানে গ্রামবাসীর সহযোগে পিয়ারছড়ার কোণাপাড়া এলাকায় ত্রাস সৃষ্টিকারী মহিষটিকে ঘেরাও করে বাগে আনার চেষ্টা করেন। তখন দুর্ভাগ্যবশত প্রায় ১০০ ফুট উঁচু টিলা থেকে পাগলা মহিষটি পা পিছলে নীচে পড়ে জলের একটি পাকা নালায় পড়ে মৃত্যু বরণ করে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে কদমতলা পুলিশ। জানা গেছে, মৃত মহিষটিকে নালা থেকে তুলে মাটির নীচে পোঁতা হয়েছে। এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, ত্রাস সৃষ্টিকারী পাগলা মহিষের মালিকা,না দাবি করে কেউ এগিয়ে আসেননি। তবে তার মালিক কে তার সন্ধান বের করতে পুলিশ তদন্তে নেমেছে।