নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২০ জানুয়ারি৷৷ রাজ্যে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে জড়ো হয়েছে প্রচুর রোহিঙ্গা৷ এক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সকাল থেকে বাংলাদেশ সীমান্তে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা জড়ো হতে থাকে৷ সীমান্তের ওপারে রোহিঙ্গাদের জড়ো হতে দেখে এপারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বৃদ্ধি করা হয়েছে৷ আশঙ্কা করা হচ্ছে, শ্রীমন্তপুর সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গারা ভারতের ত্রিপুরা ভুখণ্ডে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাবে৷ খবরের সত্যতা স্বীকার করে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর জনৈক আধিকারিক জানিয়েছেন, আজ সকালে সীমান্তে টহল দেওয়ার সময় জওয়ানরা দেখেছেন বেশ কিছু রোহিঙ্গা ত্রিপুরায় অনুপ্রবেশের জন্য ওপারে বাংলাদেশে জড়ো হয়েছে৷ ফলে সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে৷

জানা গিয়েছে, ৩১ জন রোহিঙ্গা অবস্থান করছে৷ তাদের মধ্যে ছয়জন পুরুষ, নয়জন মহিলা এবং ১৬ জন শিশু৷ তারা পশ্চিম জেলার রাইয়ামুড়া সীমান্তে অবস্থান করছে৷ বিজিবির তরফে বলা হচ্ছে এই রোহিঙ্গারা ভারত তথা ত্রিপুরা থেকে ওপাড়ে গিয়েছে৷ বিএসএফ অবশ্য এই দাবি খারিজ করে দিয়ে বলেছে তারা বাংলাদেশ থেকে এপাড়ে আসার চেষ্টা চালাচ্ছে৷ উদ্ভুত এই সমস্যা সমাধানের জন্য শনিবার দুই দফায় বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে ফ্ল্যাগ মিটিং হয়েছে৷ কিন্তু, কোন সুরাহা হয়নি৷ টানা আটচল্লিশ ঘন্টা যাবত এই রোহিঙ্গারা সীমান্তের কাটাতারের বেড়ার ওপাড়ে অবস্থান করছে৷ বিএসএফের ডেপুটি ইনস্পেক্টর জেনারেল সি এল বেওলুয়া রবিবার জানিয়েছেন বাংলাদেশ থেকে তারা ত্রিপুরায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে৷ কাঁটাতারের বেড়ার তিনশ মিটার দূরত্বে এই রোহিঙ্গারা অবস্থান করছে৷ মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিএসএফের তরফ থেকে তাদেরকে জল সহ অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করা হচ্ছে৷ তিনি জানান, দুই দফায় বিজিবির সাথে বৈঠকে কোন সুরাহা হয়নি৷ সোমবার আবার বৈঠক করা হবে৷ বিজিবি চাইছে এই রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে থেকে ত্রিপুরায় পাঠিয়ে দিতে৷ পাল্টা অভিযোগ বিজিবির৷ বিএসএফের তরফ থেকে বিজিবি কর্তৃপক্ষকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তারা যাতে এপাড়ে এসে কাঁটাতারের বেড়া পরিদর্শন করে দেখে যান৷ যদি কোথাও কোন ধরনের প্রমাণ মিলে যে রোহিঙ্গারা ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে তাহলে এই ব্যাপারে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷ এদিকে, এই রোহিঙ্গা ইস্যুতে গোটা ওই সীমান্ত এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে৷ বিএসএফের তরফ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে৷