নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন কনকদূর্গা ও বিন্দু, শুক্রবার ঋতুমতী দু’জন মহিলার আবেদন শুনবে সুপ্রিম কোর্ট

নয়াদিল্লি, ১৭ জানুয়ারি (হি.স.): চলতি মাসের ২ তারিখ ইতিহাস রচনা করে কেরলের শবরীমালা মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ করেছিলেন কনকদূর্গা এবং বিন্দু আম্মিনী নামে দু’জন ঋতুমতী মহিলা| শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করার পর থেকেই লাগাতার কটূক্তি ও আক্রমণের মুখোমুখি হতে হচ্ছে কনকদূর্গা এবং বিন্দুকে| ঘরের বাইরে প্রাণসংশয়ের আশঙ্কাও রয়েছে তাঁদের| প্রাণে বাঁচতে লুকিয়েও ছিলেন গোপন আস্তানায়| তা সত্ত্বেও, গত মঙ্গলবার নিজের বাড়িতেই শাশুড়ির হাতে আক্রান্ত হন কনকদূর্গা| এরপর থেকেই আরও বেশি ‘নিরাপত্তাহীনতায়’ ভুগতে থাকেন কনকদূর্গা| পুলিশি নিরাপত্তার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কনকদূর্গা এবং বিন্দু| কনকদূর্গা এবং বিন্দু পুলিশি নিরাপত্তা পাবেন কি পাবেন না, তা জানা যাবে শুক্রবারই| ওই দিনই কনকদূর্গা এবং বিন্দুর আবেদন শুনবে সর্বোচ্চ আদালত|


২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ঐতিহাসিক রায়ে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়েছিল, কেরলের শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন সমস্ত বয়সের মহিলারা| সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর থেকেই শবরীমালা মন্দিরে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন বহু মহিলা| কিন্তু, আয়াপ্পা-ভক্তদের প্রতিবাদ-বিক্ষোভের কারণে মন্দিরে ঢুকতেই পারেননি মহিলারা| ওই পরিস্থিতিতে গত ২ জানুয়ারি পুলিশি নিরাপত্তায় শবরীমালা মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করেন কনকদূর্গা এবং বিন্দু নামে দু’জন মহিলা| শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করার পর থেকেই প্রাণসংশয়ের আশঙ্কা করছিলেন ঋতুমতী এই দু’জন মহিলা| ঘরে-বাইরে বিরোধের মুখেও পড়েছিলেন তিনি| শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশের দীর্ঘ দিন পর বাড়ি ফিরতেই কনকদূর্গার উপর হামলা করেন তাঁর শাশুড়িও| তাঁর মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে সজোরে আঘাত করা হয়| এরপর থেকেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকেন কনকদূর্গা|

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *