আগরতলা, ৪ জানুয়ারি, (হি.স.) : দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। সন্তানরা ফিরে পেয়েছেন তাঁদের নিখোঁজ বাবাকে। দীর্ঘ ২৮ বছর পর ঘরে ফিরেছেন বাবা সুনীল দাস।জানা গেছে, গত ১ জানুয়ারি খবর আসে, ২৮ বছর আগে নিখোঁজ সুনীল দাসকে কমলপুরে দেখা গেছে। খবর পাওয়ার সঙ্গে-সঙ্গে বাবা সুনীলবাবুকে বাড়ি নিয়ে আসার জন্য কমলপুর ছুটে যান তাঁর দুই ছেলে। কমলপুর গিয়ে তাঁরা তাঁদের বাবাকে দীর্ঘ ২৮ বছর পর বাড়ি নিয়ে আসেন। জানা গেছে, ১৯৯১ সালে একটি ঘটনায় সুনীল দাসের সঙ্গে তাঁরে এক প্রতিবেশীর মারপিট হয়। মারপিটে সুনীল দাসের মাথায় প্রতিবেশীটি টর্চ দিয়ে আঘাত করেন। এতে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যান সুনীলবাবু। তাকে তাঁর পরিবারের লোকেরা স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁকে রেফার করা হয় আগরতলার জিবি হাসপাতালে। কিছুদিন জিবি হাসপাতালে চিকিৎসা করার পর সুনীলবাবুকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়।

হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে আগরতলা থেকে নিদয়ায় অবস্থিত বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে বাসে উঠেন। কিন্তু সুনীলবাবু স্ত্রীকে বাড়িতে পাঠিয়ে আগরতলাতেই থেকে যান। এর পর থেকে তাঁর আর খবর পাওয়া যায় নি । খোঁজাখুঁজি করে দীর্ঘ ২৮ বছর কেটে গেছে। সুনীল দাসে সন্ধান পাওয়া যায়নি। যদিও যাত্রাপুর থানায় একটি মিসিং ডায়েরিও করা হয়। কিন্তু সুনীলবাবুকে খোঁজে পাওয়া যায়নি।
এদিকে স্বামীর ফিরে আসার পথ চেয়ে দীর্ঘ ২৮টি বছর কাটিয়ে দিয়েছেন তাঁর স্ত্রী। পাঁচ সন্তানকে নিয়ে খুবই কষ্টে দিন কাটাতে থাকেন সুনীলবাবুর স্ত্রী। শেষ পর্যন্ত কয়েক মাস আগে সুনীল দাসের স্ত্রী মারা যান। দীর্ঘ ২৮ বছর পর বাবাকে পেয়ে খুবই আনন্দিত সন্তানেরা।