নয়াদিল্লি, ৪ জানুয়ারি (হি.স.): উদ্ধারকাজ আপাতত সমাপ্ত। ধ্বংসস্তূপের তলায় আর কেউ চাপা পড়ে নেই। একইসঙ্গে পশ্চিম দিল্লির মোতি নগরে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের জেরে কারখানার একাংশ ভেঙে পড়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৭ জন। মৃতদের মধ্যে পাঁচ বছরের একটি শিশুও রয়েছে। এছাড়াও কারখানার একাংশ ভেঙে পড়ার ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন অন্ততপক্ষে ৮ জন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় আচার্য্য ভিকসু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পদস্থ এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পশ্চিম দিল্লির মোতি নগরে, সুদর্শন পার্ক এলাকায় অবস্থিত একটি ফ্যাক্টরিতে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের জেরে দোতলা ওই কারখানার একাংশ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। ওই কারখানাটিতে সিলিং ফ্যান রঙ করার কাজ হতো। কারখানার একাংশ ভেঙে পড়ায় ধ্বংসস্তূপের তলায় চাপা পড়ে যান পাঁচ বছর বয়সি একটি শিশু-সহ ১৫ জন। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ১৫ জনকে উদ্ধার করে স্থানীয় আচার্য্য ভিকসু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে পাঁচ বছর বয়সি শিশু-সহ ৭ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। বাকি ৮ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পদস্থ এক দমকল কর্তা জানিয়েছেন, রাত ৮.৪৮ মিনিট নাগাদ দমকলে ফোন করে অবহিত করা হয় মোতি নগরের সুদর্শন পার্ক এলাকায় অবস্থিত একটি ফ্যাক্টরির একাংশ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে। খবর পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল, পুলিশ এবং অ্যাম্বুলেন্স। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এনডিআরএফ টিম। রাতভর উদ্ধারকাজ চালানোর পর ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ৮ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে দুঃসংবাদ হল, ইট-কংক্রিট-সহ ধ্বংসস্তূপের তলায় চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে পাঁচ বছর বয়সি একটি শিশু-সহ ৭ জনের। রাতভর উদ্ধারকাজ শেষে শুক্রবার সকালে এনডিআরএফ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ধ্বংসস্তূপের তলায় আর কেউ চাপা পড়ে নেই। আপাতত উদ্ধারকাজ সমাপ্ত। এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে পাঁচ বছর বয়সি একটি শিশু-সহ ৭ জনের। এছাড়াও গুরুতর আহত অবস্থায় ৮ জনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে রয়েছে ওই ফ্যাক্টরির মালিকও। মামলা রুজু করে মর্মান্তিক এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।