নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম, ২৬ ডিসেম্বর৷৷ ফের চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনা৷ ঘটনাটি ঘটেছে, দক্ষিণ জেলার শান্তিরবাজার মহকুমার অধীন বীরচন্দ্র মনু হাসপাতালে৷ এই ব্যাপারে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন আক্রান্ত চিকিৎসক৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চিকিৎসকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে৷ চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠনের তরফ থেকে এই হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করার পাশাপশি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী করা হয়েছে৷সংবাদ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাত আনুমাটি সাড়ে নয়টা নাগাদ আবাসন থেকে মারতে মারতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এক চিকিৎসককে৷ এমওআইসি তথা ডাঃ অজয় বিশ্বাস জানান, সোমবার রাতে এক রোগীকে অ্যাসিড খাওয়া
অবস্থায় আনা হয়৷ রোগীর অবস্থা তেমন খারপ ছিল না৷ রোগীকে হাসপাতালে আনার পর রোগীর দু’জন নিকটাত্মীয় ও হাসপাতালের দু’জন কর্মী ডাক্তার নয়ন দাসকে আবাসন থেকে ডেকে আনে৷ ডাক্তারবাবু আবাসন থেকে বের হবার সঙ্গে সঙ্গেই রোগীর আত্মীয় পরিজনরা গাছের ডাল ভেঙ্গে মারধর করতে থাকে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন৷ ঐ চিকিৎসক এই ঘটনায় রীতিমতো হতবাক হয়ে উঠেন৷ তারপরও তিনি নিজের সেবাধর্ম বজায় রেখে আঘাতপ্রাপ্ত অবস্থাতেই চরম অপমান সহ্য করেই রোগীকে দেখেন এবং পরিষেবা দিয়েছেন৷ এই ঘটনার পর মঙ্গলবার ডাক্তার নয়ন দাস নিজে চিকিৎসার জন্য বাড়িতে চলে যান৷ বুধবার দুপুরে নয়ন দাসের হয়ে শান্তিরবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন হাসপাতালের এমওআইসি তথা ইনচার্জ ডাঃ অজয় বিশ্বাস৷ অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ হাসপাতালে ছুটে যায় এবং ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ খবর নিয়েছে৷ এদিকে, হাসপাতালের ইনচার্জ থানায় যে মামলা দায়ের করেছেন তার নম্বর ৯৪/২০১৮৷ মামলাটি হয়েছে আইপিসির ৪৪৮/৩৫৪/৪২৭/৩৪ ধারা মোতাবেক৷ মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে হামলাকারী রঞ্জিত রিয়াং এবং খারেন্দ্র রিয়াংকে৷ পুলিশ মামলা নিলেও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি খবর লেখা পর্যন্ত৷
2018-12-27
