মুম্বই, ২১ ডিসেম্বর (হি.স.): তথ্য-প্রমাণের অভাব! তাই নিরুপায় মুম্বইয়ের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারপতি এস জে শর্মা| তথ্য-প্রমাণের অভাবে ২০০৫ সালের সোহরাবুদ্দিন শেখ ‘ভুয়ো’ এনকাউন্টার মামলায় বেকসুর খালাস হলেন ২২ জন অভিযুক্তই| শুক্রবার মুম্বইয়ের বিশেষ সেন্ট্রাল ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) আদালত তথ্য-প্রমাণের অভাবের কারণে সোহরাবুদ্দিন শেষ ‘ভুয়ো’ এনকাউন্টার মামলায় ২২ জন অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করে দিয়েছে| নিজেকে ‘নিরুপায়’ আখ্যা দিয়ে বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারপতি এস জে শর্মা জানিয়েছেন, ষড়যন্ত্র ও হত্যার যথাযথ প্রমাণের অভাবে সোহরাবুদ্দিন শেখ মামলায় ২২ জন
অভিযুক্তকেই বেকসুর খালাস করা হচ্ছে| ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে ধরার জন্য যথাযোগ্য প্রমাণ দাখিল করতে পারেননি আইনজীবীরা| বিশেষ সিবিআই আদালত আরও জানিয়েছে, ষড়যন্ত্র করে হত্যা করা হয়েছে তুলসীরাম প্রজাপতিকে, এটা ঠিক নয়।
প্রায় ১৩ বছর আগে, ২০০৫ সালের নভেম্বর মাসে গুজরাট পুলিশ জানায়, গ্যাংস্টার সোহরাবুদ্দিন শেখ একটি এনকাউন্টারে মারা গিয়েছে| সোহরাবুদ্দিনের সঙ্গে লস্কর-ই-তৈইবার যোগ ছিল বলে অভিযোগ| তার পরিকল্পনা ছিল, তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে মেরে ফেলার| ২০১০ সালে এই মামলার তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে আসে| সিবিআই জানিয়েছিল, হায়দরাবাদ থেকে বাসে করে মহারাষ্ট্রের সাঙ্গলিতে আসছিল সোহরাবুদ্দিন শেখ, তুলসিরাম প্রজাপতি ও সোহরাবুদ্দিনের স্ত্রী কৌসর বাই| সেই সময়ই বাস থেকে তাদের অপহরণ করে গুজরাট পুলিশ| সিবিআই আরও জানায়, আহমেদাবাদের কাছে একটি জায়গায় সোহরাবুদ্দিনকে হত্যা করা হয়| তাঁর স্ত্রীকে ওই বছরেরই ২৯ নভেম্বর হত্যা করা হয়| গুজরাট-রাজস্থান সীমান্তের কাছে চাপড়িতে গুলি করে হত্যা করা হয় তুলসিরাম প্রজাপতিকে| এই মামলায় ইতিমধ্যেই ছাড় পেয়েছেন গুজরাটের পুলিশ কর্তা অভয় চুদাসামা, রাজস্থানের প্রাক্তন পুলিশ মন্ত্রী গুলাবচাঁদ কাটারিয়া, গুজরাটের প্রাক্তন পুলিশ প্রধান পি সি পাণ্ডে এবং পদস্থ পুলিশ কর্তা গীতা জোহরি| এই মামলায় অভিযুক্তদের তালিকায় ছিলেন বিজেপিরর সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ| পরে তিনি রেহাই পেয়ে যান|
2018-12-21

