নয়াদিল্লি, ২১ ডিসেম্বর (হি.স.): আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে পাঁচ রাজ্যের (ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, মিজোরাম এবং তেলেঙ্গানা) বিধানসভা নির্বাচন বিজেপি-সহ প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কাছেই ছিল ‘সেমি-ফাইনাল’-এর সমতুল্য। কিন্তু, পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনেই খুব ভালো ফলাফল করতে পারেনি বিজেপি। একইসঙ্গে বিজেপির কাছ থেকে ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থান ছিনিয়ে নিয়েছে কংগ্রেস। বিজেপির দখলে থাকা ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থান ছিনিয়ে নিয়ে কংগ্রেস এখনই যথেষ্টই আত্মবিশ্বাসী। তবে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকড়ির মতে, ‘তিন রাজ্যে বিজেপি পরাজিত হয়েছে, তা আমি মানতে নারাজ। আসন জয়ের নিরিখে সামান্যই পার্থক্য ছিল বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি পুনরায় জয়ী হবে। আবারও প্রধানমন্ত্রী হবেন মোদীজি।’
মাঝে মধ্যেই বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন বিজেপির বিভিন্ন নেতা-কর্মীরা। বিজেপি নেতা অথবা কর্মীদের বেফাঁস মন্তব্যের জেরে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে পড়ে গেরুয়া শিবির। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকড়ি বলেছেন, ‘দলের হয়ে বক্তব্য তুলে ধরার দায়িত্ব মূলত মুখপাত্রের। কিন্তু, দলের অন্দরের কিছু মানুষ মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময় মাঝেমধ্যেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। এমন কোনও মন্তব্য করা উচিত নয়, যা বিতর্কের সূত্রপাত করে এবং দলকে অস্বস্তিতে ফেলে।’
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পরাজিত করতে বিশেষভাবে তৎপর কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, টিডিপি-সহ বিজেপি বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দল। বিরোধীদের জোট প্রসঙ্গে নীতিন গডকড়ি বলেছেন, ‘রাজনীতি হল সমঝোতার খেলা। যখন একটি রাজনৈতিক দল জানতে পারে যে তারা কোনও একটি দলকে পরাজিত করতে সক্ষম, ঠিক তখনই তারা জোট গঠন করে। নিরুপায় হয়েই জোট গঠিত হয়, বিরোধীরা মোদীজি এবং বিজেপিকে ভয় পাচ্ছে তাই এই জোট।’
2018-12-21
