মুম্বই, ১৮ ডিসেম্বর (হি.স.): চিকিত্সকদের বহু চেষ্টা সত্ত্বেও, প্রাণে বাঁচানো সম্ভব হল না আরও ৩ জনকে| পশ্চিম মুম্বইয়ের আন্ধেরিতে ইএসআইসি কামগর হাসপাতালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৯| রাতভর চিকিত্সা সত্ত্বেও মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন আরও ৩ জন| মৃত ৩ জনের মধ্যে ৫ মাসের একটি শিশুও রয়েছে| বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (বিএমসি)-এর ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ইউনিট জানিয়েছেন, আন্ধেরির মারোল এলাকায় অবস্থিত ইএসআইসি কামগর সরকারি হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫ মাসের শিশু-সহ আরও ৩ জন| সবমিলিয়ে মৃতের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ জন| কমবেশি আহত অবস্থায় অন্ততপক্ষে ১৭৬ জনকে শহরের অন্যান্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে| তাঁদের মধ্যে তিনজন দমকল কর্মী রয়েছেন| বিএমসি-র ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, আহত ১৭৬ জনের মধ্যে ২৫ জনের শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক|
সোমবার বিকেল চারটে নাগাদ পূর্ব আন্ধেরির মারোল এলাকায় অবস্থিত ইএসআইসি কামগর সরকারি হাসপাতালে ভয়াবহ আগুন লাগে| মুহূর্তের মধ্যেই আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতালে| আগুন আতঙ্কে ও প্রাণভয়ে হাসপাতাল ভবন থেকে লাফ দেন বেশ কয়েকজন রোগী| তাঁদের মধ্যেই ৯ জনের এখনও পর্যন্ত হয়েছে| এছাড়াও অনন্তপক্ষে ১৭৬ জন কমবেশি আহত হয়েছেন| দমকল সূত্রের খবর, ইএসআইসি হাসপাতালের নীচের তলায় সর্বপ্রথম আগুন লাগে| আগুন ধীরে ধীরে উপরের তলাগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে| বাঁচার তাগিদে দোতলা, তিনতলা থেকে নীচে ঝাঁপ দেন রোগীরা| অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থার দেখভাল বা নজরদারির দায়িত্ব মহারাষ্ট্র ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরশেন (এমএসডিসি)-এর| তাঁদের কোনও গাফিলতি রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে| মুম্বইয়ের মেয়র ভি মহাদেবেশ্বর জানিয়েছেন, এমএসডিসি ঠিকঠাক আগাম পরিদর্শন করেছিল কিনা, তা তদন্ত করে দেখা হবে|
আন্ধেরির ইএসআইসি সরকারি হাসপাতালে ৯ জনের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ| বিয়োগান্তক এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডার সঙ্গে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ| একইসঙ্গে অগ্নিকাণ্ডে মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী| কিভাবে আগুন লাগল সরকারি হাসপাতালে, তা জানতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ|

