নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১২ ডিসেম্বর৷৷ আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই সুকলে পঠন-পাঠনের সময় বদলাচ্ছে৷ সূত্রের খবর, সরকারী এবং সরকার পরিচালিত সুকল শুরুর নতুন নির্ঘন্ট হবে সকাল ৮টা৷ সুকল ছুটি হবে দুপুর দেড়টা৷ এক্ষেত্রে প্রাতঃ বিভাগের সুকল সকাল ৮টায় শুরু হয়ে ছুটি হবে দুপুর ১২টা এবং হাইসুকল ও উচ্চ মাধ্যমিক সুকল সকাল ৮টায় শুরু হয়ে ছুটি হবে দুপুর দেড়টায়৷ প্রাথমিকভাবে রাজ্যে সরকারী ও সরকার পরিচালিত মিলে ৩৫৫১টি সুকলে এই নয়া নির্ঘন্ট কার্যকর হবে৷
রাজ্যে সরকারী ও সরকার পরিচালিত সুকলের সংখ্যা ৪৩৮৫টি৷ তাতে মোট ছাত্রছাত্রী রয়েছে ৭ লক্ষ ২৭ হাজার ৬৩১ জন৷ সূত্রের খবর, রাজ্য সরকার সুকলের পঠন-পাঠনের নতুন নির্ঘন্ট চালু করতে চলেছে৷ আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই সুকলগুলিতে এই নিয়ম লাগু হবে৷ তবে, সমস্ত সুকলে একত্রে তা লাগু হবে না৷ সরকারী ও সরকার পরিচালিত মিলে ৩৫৫১টি সুকলে এই নয়া নির্ঘন্ট চালু হচ্ছে৷
সূত্রের খবর, সরকারী ২৬২৩টি সুকলের মধ্যে ১৮১৩টি সুকলে প্রাথমিকভাবে নয়া নির্ঘন্ট চালু হবে৷ কারণ, বর্তমানে যে পরিকাঠামো রয়েছে তাতে বাকি ৮৩৪ টি সুকলে নয়া নির্ঘন্ট লাগু করা সম্ভব নয়৷ তাই পরবর্তি সময়ে ওই সুকলগুলির নির্ঘন্ট বদলের উদ্যোগ নেবে রাজ্য সরকার৷ এডিসি পরিচালিত ১৬৬৫ টি সুকলের মধ্যে ১৬৬৪টি সুকলেই নয়া নির্ঘন্ট লাগু হবে৷ শুধুমাত্র ১টি হাইসুকলে প্রাথমিকভাবে তা সম্ভব হচ্ছে না৷ এছাড়া সরকারী অনুদানপ্রাপ্ত ৫১টি মাদ্রাসার মধ্যে ৫৯টিতে নয়া নির্ঘন্ট লাগু হবে৷ পাশাপাশি সরকারী অনুদানপ্রাপ্ত ৪৬টি সুকলের মধ্যে ২৫টি সুকলে নয়া নির্ঘন্ট চালু হবে৷ সব মিলিয়ে ৪৩৮৫টি সুকলের মধ্যে ৩৫৫১টি সুকলে প্রাথমিকভাবে পঠন-পাঠনের নয়া নির্ঘন্ট চালু হতে চলেছে৷ বাকি সুকলগুলিতে বর্তমানে যে পদ্ধতিতে পঠন-পাঠন চলছে তেমনি চলবে৷
সূত্রের খবর, এনসিইআরটি’র সিলেবাস চালু করার সাথে এই নয়া নির্ঘন্টও অনুযায়ী সুকলে পঠন-পাঠনের পদ্ধতি চালু করতে চাইছে রাজ্য সরকার৷ তাতে, প্রাতঃ বিভাগে সকাল ৮টায় শুরু হয়ে ছুটি হবে দুপুর ১২টায় এবং হাই সুকল ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সকাল ৮টায় শুরু হয়ে ছুটি হবে দুপুর দেড়টায়৷ সূত্রের দাবি, দেশের মোট ২৫টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল এনসিইআরটি সিলেবাস অনুসরণ করছে, সেখানে সকাল ৮টা থেকে পঠন-পাঠন শুরু হয়৷ ত্রিপুরা ২৬তম রাজ্য হিসেবে এনসিইআরটি সিলেবাস অনুসরণ করার পাশাপাশি সুকলে পঠন-পাঠনে নয়া নির্ঘন্ট চালু করতে চলেছে৷
এদিকে, রাজ্যে নতুন সিলেবাস চালু করার ক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে শিক্ষা দপ্তর৷ আগামী জানুয়ারী থেকে মার্চ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে৷ ইতিমধ্যে এনসিইআরটি’র ১২ জন বিশেষজ্ঞ রাজ্যে এসে ৪৪০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন৷ রাজ্যে ছাত্রছাত্রীদের বিজ্ঞান ও অংক বিষয়ে প্রচন্ড দূর্বলতা রয়েছে৷ তাই, এই দুই বিষয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আগামী ১৮ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে এগারটায় রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে শিক্ষা দপ্তর৷ সেখানে রাজ্যের সমস্ত সুকলের প্রধান শিক্ষক, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, হাই সুকল ও উচ্চ মাধ্যমিক সুকলের শিক্ষক-শিক্ষকা, জেলা শিক্ষা আধিকারীক এবং বিদ্যালয় পরিদর্শকদের উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর৷
2018-12-13

