গন্ডাছড়ায় ভয়াল দুর্ঘটনার কবলে বাস, গুরুতর আহত ৫০, গর্জিতে খাদে পড়ল টিএসআরের গাড়ি, ঘায়েল ৩ জওয়ান

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৪ ডিসেম্বর৷৷ রাজ্যের পৃথক স্থানে যান দূর্ঘটনায় ৫৩ জন আহত হয়েছেন৷ আহতেদের মধ্যে তিনজন টিএসআর জওয়ানও রয়েছে৷ প্রতিটি দুর্ঘটনাই ঘটেছে গভীর খাদে পড়ে যাওয়ার ফলে৷
রভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এক বাসের কমপক্ষে ৫০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন৷ ঘটনাটি ঘটেছে গন্ডাছড়া অমরপুর সড়কের থানারইপাড়া এলাকায়৷ জানা গেছে, গন্ডাছড়া অমরপুর সড়কের থানারাইপাড়া এলাকায় সংঘটিত দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে রয়েছে শিশু, মহিলা সহ বেশ কয়েকজন পুরুষ৷ মঙ্গলবার বিকেলের দিকে এই ঘটনাটি ঘটেছে৷ প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বাসটির গতি বেশি ছিল৷ তাছাড়া বাসে অতিরিক্ত যাত্রীও ছিল বলে জানিয়েছেন তারা৷ যার দরুন চালক তার বাসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি৷ এর ফলেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটে৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে টিআর -০১-বি-১৩৯২ নম্বরের গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে মূলত খারাপ রাস্তার কারণে৷
জানা গেছে, আহত যাত্রীদের উদ্ধার করেছেন অগ্ণিনির্বাপক দফতরের কর্মীরা৷ এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে গন্ডাছড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছেছে বলে জানা গেছে৷ এদিকে, টিএষআর এর একটি গাড়ি খাদে পড়ে গেলে এক আধিকারিক ষহ তিন জওয়ান গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন৷ মঙ্গলবার দুপুরে গর্জির নাতিনটিলায় ঘটনাটি ঘটেছে৷ তাঁরা নবম টিএষআর ব্যাটালিয়ানের৷ আহত তিন টিএষআর জওয়ানের মধ্যে একজন অ্যাষিটেন্ট কমান্ডেন্ট, অন্যজন তার দেহরক্ষী এবং অপরজন গাড়ির চালক৷ জানা গেছে, গর্জিতে যাওয়ার ষময় টিএষআর এর গড়িটি নাতিনটিলায় একটি রাস্তার বাঁক নেওয়ার ষময় নিয়ন্ত্রন হারিয়ে খাদে পড়ে যায়৷ স্থানীয় বাষিন্দারা আহতদেরকে খাদ থেকে তুলে গোমতী জেলা হাষপাতালে নিয়ে যান৷ জানা গেছে, বর্তমানে তারার গোমতী জেলা হাষপাতালে চিকিৎষাধীন৷ এদিকে ক্রেন দিয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িকে তোলা হয়েছে বলে জানা গেছে৷
গন্ডাছড়ায় আহতদের মধ্যে কুড়ি জনের অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় আগরতলায় জিবি হাসপাতালে রেফার রা হয়েছে৷ মঙ্গলবার রাতেই মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব জি বি হাসপাতালে গিয়েছেন এবং আহতদের চিৎকসার ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়েছেন৷ তিনি চিকিৎসার সমস্ত ব্যয়ভার রাজ্য সরকার বহন করবে বলে আশ্বাস দিযেছেন৷
প্রসঙ্গত, রাজ্যে প্রতিদিন যান দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে৷ এক্ষেত্রে যান চালকদের মাত্রাতিরিক্ত গতিবেগে গাড়ি চালানোকেই দায়ী করছেন যাত্রী সাধারণ৷ তাছাড়া বেপরোয়া বাইক ও মোটর সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছে কিছু উঠতি বয়সের যুবক৷ তাতে দুর্ঘটনার সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে৷ এক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসনকে আরও কঠোর ভাবে বিষয়টিকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে বলে তথ্যাভিজ্ঞ মহলের অভিমত৷ শুধুমাত্র রাজধানী আগরতলার রাজপথে নজরদারী চালানো হলেই চলবে না, জাতীয় সড়ক সহ অন্যান্য স্থানেও নজরদারী আবশ্যক৷