![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2016/12/w-sureshprabhu-kcrF-621x414@LiveMint-300x200.jpg)
ব্যবসা, শিল্প এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উন্নত নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা-সহ বিভিন্ন বিষয়কে মাথায় রেখে ২৯ এবং ৩০ নভেম্বর দিল্লি ক্যান্টনমেন্টের মানকেশ কেন্দ্রে আয়োজিত হয়েছে আইআইএসএসএম-এর ২৮ তম বার্ষিক ব্যবসায়িক সম্মেলন| বৃহস্পতিবার সকালে দু’দিনের এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুরেশ প্রভু| দু’দিনের এই সম্মেলনে বেসরকারি, সরকারি এবং সামরিক সংগঠনের প্রতিনিধিরাও অংশ নিয়েছেন| এদিন সম্মেলনের উদ্বোধনের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুরেশ প্রভু বলেছেন, ‘সুরক্ষা সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে কাজ করছে এই সম্মেলন| এছাড়াও বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে নতুন নতুন সমাধান খুঁজে বার করছে|’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুরেশ প্রভু আরও বলেছেন, ‘গোটা বিশ্বের মধ্যে ভারত অরাজক শক্তির নিশানায় রয়েছে| আমরা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে জটিল প্রতিবেশীর পাশেই রয়েছি| আর তাই সুরক্ষার বিষয়টিকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া উচিত| দেশের জনসংখ্যা, অঞ্চল এবং পরিস্থিতির নিরিখে সকলকে নিরাপত্তা প্রদান করার সরকারের পক্ষে খুবই কঠিন ব্যাপার| এমতাবস্থায় সুরক্ষা সংক্রান্ত ব্যবসা দেশের স্বার্থেই কাজ করে চলেছে|’
তিনি বলেন যে, আয়-ব্যয়ের সঙ্গে সঞ্চয়ও হিসাব-নিকাশের গুরুত্বপূর্ণ অংশ । বিশ্বব্যাপী সামরিক কর্মকর্তারা অবসরপ্রাপ্ত হওয়ার পরে অনেক উপায়ে পেশাদার ভূমিকা পালন করে থাকেন । সৈন্যবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণকারী এই সামরিক কর্মকর্তারা দেশ জন্য একটি সঞ্চয়ের মত। আইআইএসএসএম এই সঞ্চয়কে আরও ভালভাবে ব্যবহার করে দেশের নিরাপত্তা বাহিনীকে একসঙ্গে জুড়ে দেশকে সাহায্য করছে । এখন আমাদের ভাবতে হবে কীভাবে আইআইএসএসএম-এর কাজের লাভ ওঠাতে পারি। আমরা চেষ্টা করব কীভাবে আইআইএসএসএম বিমান পরিবহণ শিল্পের সঙ্গেও কাজ করতে পারে । সুরেশ প্রভু বলেন, মহারাষ্ট্রে একাধিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে | একদিকে, আমরা পরিকাঠামোগত নির্মাণ করছি অন্যদিকে, প্রকৃত দুর্যোগের কারণে সেগুলিকে হারাচ্ছি । সম্পত্তির নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় | আমদের এই দিশাতে কাজ করা উচিত। দ্বারকাতে কনভেনশন সেন্টার এবং আইটিপিওর মত বড় পরিকাঠামোগত নির্মাণ হচ্ছে। সেখানে অগ্নি নিরাপত্তা এবং অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রয়োজন রয়েছে। এক্ষেত্রে আইআইএসএসএম আমাদের সাহায্য করতে পারে |
উনি বলেন, আর্থিক দৃষ্টিকোণ দিয়ে দেখতে গেলে নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত ব্যবসাগুলি ক্রমশ বৃদ্ধি হচ্ছে। এই সেবা ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান তৈরির সম্ভাবনাও রয়েছে। তাই এই ক্ষেত্রের বিকাশের জন্য আমাদের মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। সুরেশ প্রভু বলেছেন, এই সুযোগে কৌশলগত উন্নয়ন করাটা জরুরী। ভারত ১০ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থব্যবস্থা তৈরি হতে চলেছে। তাই বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের পেশাদারদের প্রয়োজন। আইআইএসএসএম এই দিশায় ভাল কাজ করেছে। আইআইএসএসএম-এর কার্যকারী অধ্যক্ষ তথা রাজ্যসভার সাংসদ রবীন্দ্রকিশোর সিনহা জানিয়েছেন, এই বৈঠক আনন্দের বিষয় হচ্ছে যে পেশাদাররা এই সম্মেলনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুরেশ প্রভুকে নিয়ে নিজেরাই উদ্বোধন করেছে। ২৮ বছরের পুরনো এই সংগঠন বার্ষিক সম্মেলন ছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করে থাকে। সাইবার সুরক্ষা, অগ্নিনির্বাপণ, সড়ক সুরক্ষা প্রশিক্ষণও এর মধ্যে যুক্ত। সংগঠনের তরফ থেকে আমরা একাধিক গবেষণা পত্র প্রকাশ করি। এই গবেষণা পত্রগুলি সরকার এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির কাছেও পাঠানো হয়। তাদের থেকে আমরা ইতিবাচক প্রতিক্রিয়াও পেয়েছি। তারা জানতে চায় আমরা কি কি কাজ নতুন করছি। দুনিয়া সব সময় ইতিবাচক ও নেতিবাচক শক্তি কাজ করে চলেছে। আমাদের কাজ হচ্ছে লোকসান থেকে আমাদের ও সংস্থাগুলির সম্পদ সুরক্ষিত করে তাদের লাভজনক করে তোলার জন্য সাহায্য প্রদান করা। নিরাপত্তা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকা অন্যান্য দিকগুলির মোকাবিলা আমাদের করতে হবে। সুরক্ষা ক্ষেত্রে করা খরচ আদৌ লাভজনক কিনা তাও ভাবনার বিষয়।
আইআইএসএসএম-এর অধ্যক্ষ এক কে শর্মা নিজের স্বাগত ভাষণে জানিয়েছেন, বিগত ২৮ বছর ধরে সম্মেলনে নতুন যারা আসে তাদের জন্য নতুন কিছু থাকে। বিগত ২৭ বছর ধরে আইআইএসএসএম বার্ষিক ব্যবসায়িক সম্মেলনের আয়োজন করে চলেছে। দেশ বিদেশের পেশাদাররা এই সম্মেলনে যোগ দেন। বেসরকারি উদ্যোগ ছাড়াও একাধিক সরকারি সংস্থাও যোগ দিয়েছে। উল্লেখনীয়, আইআইএসএসএম-এর সম্মেলনে সুরক্ষা এবং উদ্ধারের সঙ্গে যুক্ত থাকা পেশাদাররা প্রশিক্ষণ, উন্নয়ন এবং আত্ম-নবীকরণের জন্য উচ্চমানদণ্ডে উপকরণের প্রয়োগ শেখানো হয়। সমস্ত তথ্য ইন্টারেকটিভ প্যানেলিস্টের মাধ্যমে দেওয়া হয়। এখানে অংশগ্রহণকারীরা আলোচনা করার সুযোগ পেয়ে থাকেন। ঘরোয়া পরিবেশে তারা বৈঠক করার সুযোগ পায়।