শ্রীনগর, ২৫ নভেম্বর (হি.স.) : দক্ষিণ কাশ্মীরে শোপিয়ানে রবিবার ভোরে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে খতম ছয় জঙ্গি। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে নিহতদের মধ্যে চার জঙ্গি হিজবুল মুজাহিদিনের সদস্য ও দুই জঙ্গি লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে যুক্ত। জঙ্গিদের গুলিতে শহিদ হয়েছেন রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের নাজির আহমেদ নামে জওয়ান। পাশাপাশি গুরুতর আহত আরও এক জওয়ান। জঙ্গি দমন অভিযান শেষ করে ফেরার পথে জওয়ানদের কনভয় লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ে বিক্ষুদ্ধ জনতা।
গোপন সূত্র থেকে খবর পেয়ে রবিবার ভোরে দক্ষিণ কাশ্মীরে সোপিয়ানের বাটপোরা কাপরান অভিযান চালায় রাষ্ট্রীয় রাইফেলস, রাজ্য পুলিশের স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ, সিআরপিএফের যৌথবাহিনী। জওয়ানদের দেখামাত্রই গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা যোগ্য জবাব দেয় জওয়ানরা। শুরু হয় তুমুল গুলির লড়াই। সংঘর্ষে নিহত ছয়। নিহতদের জঙ্গিদের মধ্যে চার জঙ্গি হিজবুল মুজাহিদিনের সদস্য ও দুই জঙ্গি লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে যুক্ত। নিহত জঙ্গিদের মধ্যে পাঁচ জঙ্গিকে শনাক্ত করা গিয়েছে। নিহতরা হলেন, মুস্তাক আহমেদ মির, মহম্মদ আব্বাস বাট, উমের মাজিদ গাইনি, মহম্মদ ওয়াসিম ওয়াগে, খালিদ ফারুক মালি। এই পাঁচ জঙ্গি স্থানীয় বাসিন্দা। আর এক জঙ্গি পাকিস্তান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে এসেছে। এই সংঘর্ষে হিজবুল মুজাহিদিন ও লস্কর-ই-তৈবার দুই জেলা কম্যান্ডার নিহত হয়েছে। সোপিয়ানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সন্দীপ চৌধুরী জানিয়েছেন, নিহত জঙ্গিদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে। নিহতদের মধ্যে উমর মাজিদ গাইনি নামে জঙ্গি বাটমালু এনকাউন্টার থেকে পালিয়েছিল। ২০১৬ সালে লাল চকে নিরীহ নাগরিক ও পুলিশকর্মীদের গুলি করে হত্যার করার পেছনে তার হাত ছিল। ওই জঙ্গির বিরুদ্ধে একাধিক নাশকতা মূলক কার্যকলাপ সংগঠিত করার অভিযোগ ছিল। জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই চলার সময় মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। অভিযান শেষ করে ফেরার পথে নিরাপত্তা বাহিনীর কনভয় লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়তে থাকে বিক্ষুদ্ধ জনতা।
জঙ্গিদমন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার শচীন মালিক জানিয়েছেন, বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ, সিআরপিএফ যৌথভাবে অভিযান চালায়। শোপিয়ানের হিজবুল ও লস্করের বেশির ভাগ স্থানীয় কম্যান্ডারকে আমরা নিকেশ করেছি।
এর আগে শুক্রবার অনন্তনাগে জঙ্গি নিধন অভিযানে বড় সাফল্য পায় ভারতীয় সেনা৷ সেই অভিযানে খতম হয় ৬ জঙ্গি৷ মৃতরা সকলে লস্কর জঙ্গি ছিল বলে খবর৷ মৃতদের মধ্যে আজাদ মালিক নামে এক জঙ্গি ছিল৷ চলতি বছর জুন মাসে সাংবাদিক সুজাত বুখারি হত্যায় এই জঙ্গি জড়িত ছিল৷ ১৮ নভেম্বর সোপিয়ানে দুই জঙ্গি এনকাউন্টারে খতম হয়৷