![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2018/11/WestBengalAssembly-300x145.jpg)
ছিটমহল বিল পাশের দিনই বিধানসভায় নাম না করে এনআরসি ইস্যুতে বিজেপিকে বিঁধলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বলেন, ইন্দিরা – মুজিব চুক্তি অনুসারে ১৯৭১ সালের আগে যাঁরা ভারতে এসেছিলেন তাঁরা ১০০ শতাংশ ভারতীয় । এদের নিয়ে একদল রাজনীতি করছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি । এনআরসি ইস্যুতে বিজেপিকে একহাত নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ইন্দিরা – মুজিব চুক্তি অনুসারে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত যাঁরা এদেশে এসেছেন তাঁরা সবাই ১০০ শতাংশ ভারতীয় । অনেক রাজনৈতিক দল তাদের ওপর অত্যাচার করছে । সেজন্য অনেকে আত্মহত্যাও করেছেন । মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ১৯৭১ সালের আগে পূর্ব পাকিস্তান থেকে ভারতে আসা প্রত্যেক নাগরিককে সমস্ত অধিকার দেবে তাঁর সরকার ।
আজ এই বিল পাশ হওয়ায় হস্তান্তরিত ছিটমহলগুলির বাসিন্দাদের জমির মালিকানা নিশ্চিত হবে । ২০১৫ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময় চুক্তি বাস্তবায়িত করে মোদী সরকার । তারপর থেকেই ভারতভুক্ত ছিটমহলগুলির বাসিন্দারা জমির মালিকানা নিয়ে অনিশ্চয়তায় ছিলেন । এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, ছিটমহল বিনিময়ের পর নাগরিকত্ব বেছে নেওয়ার যে বিকল্প ছিটমহলের বাসিন্দাদের কাছে ছিল তা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশি ছিটমহলগুলির ৯২২ জন বাসিন্দা ভারতের নাগরিকত্ব নিয়েছেন । কিন্তু ভারতীয় ছিটমহলগুলির ২৩,৩২৪ জনের কেউ বাংলাদেশে যাননি ।
দীর্ঘ কয়েক দশকের চেষ্টার পর ২০১৩ সালে ভারতীয় সংসদে পাশ হয় ছিটমহল বিনিময় বিল । তবে প্রক্রিয়া কার্যকর করতে একাধিক বাধা ছিল । সেই সব বাধা টপকে ২০১৫ সালের ৩১ জুলাই মধ্যরাতে কার্যকর হয় চুক্তি । ভারতভুক্ত হয় বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল । যার মোট আয়তন ৭,১১০ একর । বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত হয় ভারতের ১১১টি ছিট। যার আয়তন ১৭,১৬০ একর ।
সোমবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনে পাস হল ছিটমহল বিল । এই বিল পাশ হওয়ায় হস্তান্তরিত ছিটমহলগুলির বাসিন্দাদের জমির মালিকানা নিশ্চিত হবে । ২০১৫ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময় চুক্তি বাস্তবায়িত করে মোদী সরকার । তারপর থেকেই ভারতভুক্ত ছিটমহলগুলির বাসিন্দারা জমির মালিকানা নিয়ে অনিশ্চয়তায় ছিলেন ।