নয়াদিল্লি, ১২ নভেম্বর (হি.স.) : রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াগুলির পূর্ণাঙ্গ নথি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো পিটিশনারদের হাতে তুলে দিল কেন্দ্রীয় সরকার।
৩১শে অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছিল পিটিশনারদের হাতে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার সময় কি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার সেই সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ নথি তুলে দেওয়ার জন্য। সেই মতো এই নথিগুলি তুলে দেয় কেন্দ্র। কেন্দ্রের তরফে নথিতে দাবি করা হয়েছে ২০১৩ সালের ডিফেন্স প্রকিউরমেন্ট প্রোসিডিউর (ডিপিপি) মেনেই বিমানগুলির অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পাদন করা হয়েছে। ডিফেন্স অ্যাকিউজিশন কাউন্সিলের সম্মতি অনুযায়ীই বিমান কেনার প্রক্রিয়া সম্পাদন করা হয়েছে। ভারতীয় প্রতিনিধি দল ফ্রান্সের সঙ্গে বিমান কেনার জন্য আলোচনা করেছে। একবছর ধরে আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য ক্যাবিনেট কমিটির কাছেও পাঠানো হয়েছিল। অফসেট পার্টনার নির্বাচনে তাদের কোনও ভূমিকা নেই৷ বিদেশি কোম্পানি তাদের অফসেট পার্টনার বেছে নেয়৷ এক্ষেত্রে দাস্লট তাই করেছে৷ অর্থাৎ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিল অনিল আম্বানির সংস্থাকে ফরাসি কোম্পানি নির্বাচন করেছে৷ গত মাসে সুপ্রিম কোর্টের প্রধানবিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের বেঞ্চ কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দেয় রাফায়েলের দাম ও অন্যান্য তথ্য (যেগুলি পিটিশন আবেদনকারীর সামনে আনা যেতে পারে) মুখবন্ধ খামে জমা দেওয়ার৷ তারপরেই এদিন হলফনামা জমা দেয় কেন্দ্রীয় সরকার৷
উল্লেখনীয়, ১৪ নভেম্বর হবে রাফাল মামলার পরবর্তী শুনানি। ওইদিন রাফাল দাম সংক্রান্ত নথি মুখোবদ্ধ খামে আদালতে পেশ করবে কেন্দ্র। আইনজীবী মনোহরলাল শর্মা, ভিনিত ডান্ডে, আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং রাফাল নিয়ে পিটিশন দায়ের করেছিল। পরে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহা, অরুণ শৌরি, সমাজকর্মী প্রশান্ত ভূষণ পিটিশন দায়ের করেছে।