নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৫ নভেম্বর ৷৷ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব শ্রমিকদের কল্যাণে যে সমস্ত প্রকল্প রয়েছে তা শ্রমিকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য শ্রম দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন৷ তিনি বলেন, বর্তমানে একজন গরিব ও অবিবাহিত মহিলা শ্রমিক তার বিয়ের জন্য শ্রম দপ্তর থেকে ১০ হাজার টাকা সহায়তা পান৷ এই সহায়তাকে বাড়িয়ে কিভাবে ২৫ হাজার টাকা করা যায় তা দপ্তরকে দেখতে হবে৷ মুখ্যমন্ত্রী শ্রীদেব আজ মহাকরণের ১নং কনফারেন্স হলে শ্রম দপ্তরের এক পর্যালোচনা সভায় এই নির্দেশ দেন৷ বৈঠকে আলোচনার সূত্রপাত করেন শ্রম দপ্তরের সচিব শ্রী শান্তনু৷ তিনি জানান, বর্তমানে রাজ্যে ২৫ হাজার ৯২১ জন শ্রমিক নথিভুক্ত রয়েছেন৷ তারা প্রত্যেক মাসে ৫০ টাকা করে নিজ অ্যাকাউন্টে টাকা জমা রাখেন৷ সরকার থেকেও প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ৫০ টাকা করে জমা করা হয়৷ ত্রিপুরা বিল্ডিং এন্ড আদার কনস্ট্রাকশন ওয়ার্কার্স প্রকল্পে ৩৩১ জন অববিবাহিত মহিলা শ্রমিককে ১০ হ জার টাকা করে মোট ৩৩ লক্ষ ১০ হাজার টাকা সহায়তা করা হয়েছে৷ ৪১ জন রিক্সা চালককে চিকিৎসার জন্য ৪১ হাজার টাকা সহায়তা করা হয়েছে৷ ১১ হাজার ৩৮৪ জন শ্রমিকের ছেলে-মেয়েকে সর্বনিম্ন ১০০০ টাকা ও সর্বোচত্মচ ৮,০০০ টাকা শিক্ষার জন্য সহায়তা করা হয়েছে৷ ২৪ জন মহিলা শ্রমিককে মাতৃত্বকালীন সহায়তা করা হয়েছে ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা৷ কিডনি, ক্যান্সোরের মতো ১৩টি রোগের চিকিৎসার জন্য ২৩৩ জন শ্রমিককে ২৩ লক্ষ ৭৫ হাজার ৪৭৯ টাকা সহায়তা করা হয়েছে৷ মৃত্যুর পর সহায়তা করা হয়েছ ৪৪টি পরিবারকে ৯ লক্ষ টাকা৷ শ্রী শান্তনু জানান, চিকিৎসিত হয়েছেন ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ২৭৩ জন৷ এছাড়া, উদয়পুর, বিশালগড়, আমবাসা ও ধর্মনগগের আরও ৪টি ডিসপেন্সারি চালু করার অনুমোদন পাওয়া গেছে৷ অফিস লেনে শ্রম ভবন নির্মাণের কাজ চলছে৷ এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫৭৬.৭২ লক্ষ টাকা৷
পর্যালোচনা সভায় কর্মবিনিয়োগ পরিষেবা ও জনশক্তি পরিকল্পনা দপ্তরের অধিকর্তা বলিন দেববর্মা জানান, রাজ্যে বর্তমানে ৭ লক্ষ ৬২ হাজার ৯৪২ জন নথিভুক্ত বেকার রয়েছেন৷ তাদের কর্মসংস্থানের জন্য বিভিন্ন ট্রেনিং সেন্টার চালু করা হয়েছে৷ তিনি জানান, বর্তমানে পশ্চিম ও উত্তর জেলায় দপ্তরের ২টি ডিস্ট্রিক্ট এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ কার্যালয় রয়েছে৷ বর্তমানে এর নাম মডেল ক্যারিয়ার সেন্টার৷ এরূপ সেন্টার উদয়পুর, আমবাসা ও কৈলাসহরে চালু করা প্রস্তাব রয়েছে৷ সভায় ফ্যােেক্টারিজ ও বয়লার্স অর্গানাইজেশনের চিফ ইন্সপেক্টর সজল দাস জানান, এই অর্গানাইজেশনের পশ্চিম জেলা, খোয়াই জেলা ও ঊনকোটি জেলায় কার্যালয় রয়েছে৷ এই সংস্থা শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য শ্রমিক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ কেেরছে৷ ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের এল কে গুপ্তা ও মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান সচিব কুমার অলক আলোচনা করেন৷