![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2014/04/mamata-bannerjee-300x200.jpg)
আজ শুক্রবার, মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই পুরো হত্যাকান্ড নতুন নাগরিকত্ব তালিকার ফলাফল ছিল । তিনি আরও জানান, ‘অসম সরকার নাগরিকত্ব তালিকার পূর্বপুরুষদের থেকে বাঙালি পরিবারকে বহিষ্কার করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে’। এই একই ঘটনার ফলশ্রুতিতে বাঙালিদের বিরুদ্ধে এ ধরনের বিশাল সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে বলেই মন্তব্য করেন তিনি । এব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট বক্তব্য রেখে বলেন, ‘বিজেপি সরকারের নির্দেশেই অসমের চরমপন্থী ঘটনা ঘটেছে’ ।
এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ তৃণমূলের তরফ থেকে একটা মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল । মিছিলের নেতৃত্ব দেন তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ।
আজ শুক্রবার, মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই পুরো হত্যাকাণ্ড নতুন নাগরিকত্ব তালিকার ফলাফল ছিল । তিনি আরও জানান, ‘অসম সরকার নাগরিকত্ব তালিকার পূর্বপুরুষদের থেকে বাঙালি পরিবারকে বহিষ্কার করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে’। এই একই ঘটনার ফলশ্রুতিতে বাঙালিদের বিরুদ্ধে এ ধরনের বিশাল সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে বলেই মন্তব্য করেন তিনি । এব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট বক্তব্য রেখে বলেন, ‘বিজেপি সরকারের নির্দেশেই আসামের চরমপন্থী ঘটনা ঘটেছে’ ।
অসমে হত্যালীলা কান্ডে পুলিশ পৌঁছানোর আগেই পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় জঙ্গিরা । ঘটনার পর আতঙ্ক ছড়ায় সমগ্র অসম জুড়ে । পাশাপাশি এই ঘটনার বিরুদ্ধে, দিল্লি, কলকাতা, দুই ২৪ পরগনার সহ সিলিগুড়ির বিশাল এলাকায় জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে ।
উল্লেখ্য, এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে আলফা জঙ্গি সংগঠন । অসম পুলিশ ও কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি যৌথভাবে এই জঙ্গি নিধনের পথে নেমেছে । এ ছাড়াও, বুদ্ধিজীবী মহলে, এনআরসি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে এই ধরণের জঙ্গি হামলা ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীতি নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে ।
এর আগে ১৯৮৩ সালে আলফা জঙ্গিরা অসমিয়া জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যার সূচনা করেছিল । সেই সময়ও হত্যা করা হয়েছিল অনেক বাঙালি পরিবারকে । এপ্রসঙ্গেই গতকালের ঘটনা সম্পর্কে, তৃণমূল কংগ্রেসের আনুষ্ঠানিক টুইটারে লেখা হয়েছিল ‘যে এনআরসি’র কারণে বাঙালিদের নিজেদের দেশেই বিদেশী ঘোষণা করা হয়েছিল । এর আগে, দুই বাঙালি আত্মহত্যা করেছিল এবং এখন পাঁচজন মারা গেছে’ । ১৯৮৩ সালের পুনরাবৃত্তিকে তাই ‘পরিকল্পিত’ ঘটনা বলেই উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ।