নিজস্ব প্রতিনিধি, কমলাসাগর/তেলিয়ামুড়া, ৮ অক্টোবর৷৷ পৃথক স্থানে যান সন্ত্রাসে নিহত এক৷ আহত চারজন৷ মধুপুর থানাধীন কমলাসাগর এলাকায় বাইকের ধাক্কায় নিহত অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া কিশোর৷ তার নাম প্রীতম দেবনাথ (১৩)৷ জানা যায়, সোমবার সকালে আনুমানিক সাতটা নাগাদ প্রীতম দেবনাথ বাড়ি থেকে মহালয়ার প্রাতঃভ্রমণের উদ্দেশ্যে কমলাসাগর মাতা মন্দিরে যাওয়ার পথে একটি আর ওয়ান ইয়ামাহা বাইক দ্রুত গতিতে এসে প্রীতমকে ধাক্কা দেয়৷ ছিটকে পড়ে প্রীতম৷ সেখান থেকে এলাকার লোকজন তাকে প্রথমে হাঁপানিয়ায় টিএমসি হাসপাাতলে নিয়ে যায়৷ সেখান থেকে জিবিতে রেফার করা হয় প্রীতমকে৷ অন্যদিকে, বাইক চালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়৷ পরে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে মধুপুর থানার পুলিশ৷ এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়, প্রীতমের বাবা নির্মলবাবু প্রাথমিক বিভাগের শিক্ষক৷ এলাকাবাসীর অভিযোগ কমলাসাগর রাস্তা দিয়ে ভোর চারটা থেকে খুব দ্রুতগতিতে বাইকগুলি চলাচল করছিল৷ কমলাসাগর এলাকার লোকজনের রাস্তা দিয়ে চলাচল করার অযোগ্য হয়ে পরেছে৷ কিন্তু অনেক বার মধুপুর থানার পুলিশের নজরে বিষয়টি দেওয়া হয়েছে৷ মহালয়ার এমন দিনে কমলাসাগর মাতামন্দিরে পূণ্যার্থীদের ভীড়৷ রাস্তা দিয়ে বাইক ও যান চলাচল হচ্ছে দ্রুতগতিতে৷ কিন্তু রাস্তায় পুলিশের টহলদারি বা নাকাবন্দী নেই যার ফলে বিনা ভ্রুক্ষেপে চারজন ও তিনজন করে আরোহী বাইক চেপে যাচ্ছে৷ যদি থানার পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে বাইক চালাচ্ছিল তনু সাহা নামে এক যুবক৷ বাড়ি অফিসটিলা এলাকায়৷ তনু সাহার বাইকের ধাক্কায় নিহত হয় কিশোর প্রীতম৷ বর্তমানে তনু সাহা জিবি হাসপাতলে চিকিৎসা চলছে৷ প্রীতম দেবীপুর দ্বাদশ শ্রেণি বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশুনা করত৷ এই ঘটনায় গোটা সুকল ও এলাকাতে শোকের ছায়া নেমে আসে৷ বিকেল চারটা নাগাদ প্রীতমকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে৷ প্রীতমকে জিবি হাসপাতালে নিয়ে আসার পর চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়৷ জিবিতে পৌঁছার কিছুক্ষণ পরেই তার মৃত্যু হয়৷ এদিকে চিকিৎসকরা প্রীতমকে মৃত ঘোষণা করার পর জিবি হাসপাতালে চত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে৷ শুরু হয় ভাঙচুর৷ উত্তেজিত জনতার সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীদের হাতাহাতিও হয়েছে৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল সংখ্যায় পুলিশ ও টিএসআর সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে৷ জানা গিয়েছে, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক৷ পুলিশ জানিয়েছে, নিরাপত্তারক্ষীদের হস্তক্ষেপে বর্তমানে জিবি হাসপাতালের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে৷
এদিকে, লরি এবং অল্টোর মুুখোমুখি সংঘর্ষে আহত হয়েছেন তিনজন৷ ঘটনাটি ঘটেছে মুঙ্গিয়াকামী থানার অধীন আঠারমুড়া এলাকায়৷ জানা গেছে, আমবাসা থেকে কল্যাণপুর আসার পথে মুঙ্গিয়াকামী থানার অন্তর্গত আঠারমুড়া এলাকায় একটি পণ্যবাহী লরি এবং অল্টো গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়৷ এতে কমপক্ষে তিনজন আহত হয়েছেন৷ আহতদের সঙ্গে সঙ্গে ধলাই জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷
জানা গিয়েছে, বর্তমানে আহতদের ধলাই জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে৷ আহতদের দুজনের নাম যোগেন্দ্র দেববর্মা (৭০) এবং সাহিয়া দেববর্মা (৫৮)৷ অপর ঘায়েল অল্টোর চালকের নাম জানা যায়নি৷ আহত যোগেন্দ্র দেববর্মার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে আগরতলায় জিবি হাসপাতালে স্থানান্তরিক করা হয়েছে৷
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এই এলাকায় দিনের পর দিন যান দুর্ঘটনা বেড়েই চলছে৷ তাঁরা আরও জানান, দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি দুটি খুবই দ্রুতবেগে যাচ্চিল৷ যার দরুণ এই দুর্ঘটনা৷ পুলিশ একটি মামলা নিয়েছে৷