সাউদাম্পটন, ২ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : ইংল্যান্ডকে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৭১ রানে আটকে রেখে জয়ের জন্য রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে টিম ইন্ডিয়া৷
প্রথম ইনিংসেরের নিরিখে ২৭ রানে এগিয়ে ছিল ভারত৷ যার অর্থ জয়ের জন্য শেষ ইনিংসে ভারতের দরকার ছিল ২৪৫ রান৷ ইংল্যান্ডের মাটিতে রান তাড়া করে জয়ের তেমন একটা আশাপ্রদ নজির নেই ভারতের৷ এর আগে কখনও দু’শোর বেশি রান তাড়া করে ইংল্যান্ডে ম্যাচ জেতেনি তারা৷
১৯৭১ সালে ওভালে ১৭৩ রান তাড়া করে জেতাই ছিল ভারতের ইংল্যান্ডের মাটিতে শেষ ইনিংসে ব্যাট করে ভারতের সব থেকে বড় জয়৷ ইংল্যান্ডে মোটে তিনবার শেষ ইনিংসে ব্যাট করে ম্যাচ জিতেছে ভারত৷ শুধু ভারতের নয়, ইংল্যান্ডের মাটিতে সফরকারী দলের চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করে জয়ের নজির হাতে গোনা৷ দু’শোর বেশ রান তাড়া করে সফরকারী দল ইংল্যান্ডে ম্যাচ জিতেছে মাত্র আটবার৷ তাও গত তিন দশকে এমনটা ঘটেছে দু’বার৷ এশিয়ার বাইরে রান তাড়া করে ম্যাচ জেতার ইতিহাসও ভারতের চমকপ্রদ নয়৷ ২০০৩ সালে শেষবার এশিয়ার বাইরে দু’শোর বেশি রান তাড়া করে ম্যাচ জিতেছে ভারত৷ ২০০৩-০৪ সালে অ্যাডিলেড ওভালে শেষ ইনিংসে ২৩০ রান করে ম্যাচ জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া৷
এশিয়ার বাইরে ৬১ বার টেস্ট জয়ের জন্য দু’শোর বেশি রানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ভারতের সামনে৷ ভারত জিতেছে মাত্র তিনবার৷ সুতরাং সাউদাম্পটনে ভারতকে জিততে হলে এশিয়ার বাইরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ও ইংল্যান্ডের মাটিতে রেকর্ড রান তাড়া করতে হবে কোহলিদের৷
ভারতীয় ইনিংসের শুরুতেই মাত্র ২২ রানের মধ্যে টপ অর্ডারের তিনজন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বসেছে ভারত৷ খাতা খুলতে পারেননি লোকেশ রাহুল৷ শিখর ধাওয়ান ১৭ ও চেতেশ্বর পূজারা ৫ রানে আউট হয়েছেন৷ রাহুলকে বোল্ড করেছেন ব্রড৷ ধাওয়ান ও পূজারার উইকেট তুলে নিয়েছেন অ্যান্ডারসন৷ চতুর্থ দিনের লাঞ্চে ভারত ৪৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে৷ কোহলি ১০ ও রাহানে ১৩ রানে ব্যাট করছেন৷ হিন্দুস্থান সমাচার/ সঞ্জয়
বেঙ্কাইয়া নাইডু নিয়ম মেনে চলা এক ব্যক্তি, বই প্রকাশের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানালেন
নয়াদিল্লি, ২ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : ‘যে নিয়ম মানতে বলে, সবাই তাকে স্বৈরাচারী বলে’। রবিবার ভারতের উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডুর লেখা একটি বই প্রকাশের অনুষ্ঠানে এসে একথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন বেঙ্কাইয়া নাইডুর লেখা বই ‘মুভিং অন, মুভিং ফরোয়ার্ড: এ ইয়ার ইন অফিস’ প্রকাশের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
এই বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বেঙ্কাইয়ার নিয়মানুবর্তিতার প্রশংসা করে বলেন, ‘বেঙ্কাইয়া একজন নিয়ম মেনে চলা ব্যক্তি। কিন্তু আমাদের দেশের এখন যে অবস্থা তাতে কাওকে নিয়ম মেনে চলতে বলাটাই অগণতান্ত্রিক। যদি কেউ নিয়ম মেনে চলতে বলে, তাহলে তাকে এ দেশে বলা হয় স্বৈরাচারী। কিন্তু বেঙ্কাইয়াজি যে নিয়ম মেনে চলতে বলেন, সেটা তিনি নিজেও মেনে চলেন।’
বেঙ্কাইয়া নাইডুর সম্পর্কে মোদী আরও বলেন, ‘আজ থেকে নয়, দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে নিজের এই ডিসিপ্লিন মেনে চলছেন বেঙ্কাইয়াজি। ১০ বছরের ছাত্র রাজনীতি ও তারপর দীর্ঘ ৪০ বছরের রাজ্য ও দেশের রাজনীতিতে বেঙ্কাইয়ার অবদান ভোলার নয়। এই বইয়ে কীভাবে নতুন ভারত গড়ে তোলা যাবে সেই ব্যাপারেই দিক নির্দেশ করেছেন বেঙ্কাইয়াজি।’ মোদী আরও বলেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী চেয়েছিলেন বেঙ্কাইয়া নাইডুকে মন্ত্রীর পদ দিতে। কিন্তু বেঙ্কাইয়া নিজে চেয়েছিলেন মাটির কাছাকাছি থাকতে। তিনি কৃষকদের উন্নতির জন্য সারাজীবন অনেক কাজ করেছেন।
প্রসঙ্গত, মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্র সরকারকে অনেক সময়েই বিরোধীরা স্বৈরাচারী সরকার বলে আক্রমণ করেছেন। তাঁর বিভিন্ন সিদ্ধান্তকে তুঘলকি সিদ্ধান্ত বলে সমালোচনা করা হয়েছে। সেই সমস্ত সমালোচনা ও আক্রমণের জবাব দেওয়ার জন্যই হয়তো মোদী এই বই প্রকাশের মঞ্চকে বেছে নিয়েছেন বলেই মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।


