নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৫ আগষ্ট৷৷ অগ্ণিদগ্দ গৃহবধূ পায়েল সাহার মৃত্যুর ঘটনায় শেষ পর্যন্ত থানায় অভিযোগনামা দায়ের করেছেন তাঁর বাপের বাড়ির লোকজন৷ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবীতে পথ অবরোধ স্থানীয় জনগণের৷ জানা গিয়েছে, পায়েলের বাপের বাড়ির লোকজন পায়েলের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি এবং জা এর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন৷ এই অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দন্ডবিধির ৪৯৮ (এ), ৩০৪(বি) এবং ৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়৷ মামলার নম্বর ৭৭/১৮৷ পায়েলের মৃত্যুর জন্য দায়ী অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার এবং তাদের উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের দাবীতে পথ অবরোধ করেছেন আমতলীর বাসিন্দারা৷ ফলে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে এলাকায়৷ পরে অবশ্য পুলিশি হস্তক্ষেপে এলাকবাসী পথ অবরোধ মুক্ত করে দেন৷ পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে, অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হবে৷
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে মেলাঘরে অগ্ণিদগ্দ হয়ে পায়েল সাহা নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে৷ এই মৃত্যু ঘিরে পায়েলের শ্বশুর বাড়ির লোকেরা বলেছিল এটি একটি দূর্ঘটনা৷ তারা বলেন রান্না করতে গিয়ে পায়েলের শরীরে আগুন লেগে যায়৷ আর তা নেভাতে গিয়ে স্বামী এবং পায়েলের শাশুড়ির গায়ে আগুন লাগে৷ অপরদিকে পায়েলের বাপের বাড়ির লোকেরা অভিযোগ করেছেন, ঘটনাটি হত্যা৷ তারা অভিযোগ করেছেন, পায়েলের গায়ে স্বশুরবাড়ির লোকেরা আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন৷ তবে এক্ষেত্রে যে যার মত করে বক্তব্য রাখলেও মাতৃহারা হয়েছে অবোঝ নয় মাসের শিশু সন্তান৷ জানা গিয়েছে, পেশায় ব্যবসায়ী মোহনভোগের বিশ্বজিৎ সাহার সাথে বিয়ে হয়েছিল আগরতলা রেলস্টেশন সংলগ্ণ কালীমাতা সংঘের পায়েল সাহার৷ প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকে পায়েলের সাথে তার স্বামী এবং শাশুড়ির সাথে ঝগড়া হত৷ স্বামী এবং শাশুড়ি মিলে পায়েলকে মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচার করতো, বলেছেন প্রতিবেশীরা৷ পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে বলা হয়েছে, কিছুদিন আগেও পায়েলের উপর চাপ দেওয়া হয়েছিল বাবার কাছ থেকে এক লক্ষ ষাট হাজার টাকা নিয়ে যেতে৷ কিন্তু, বৃহস্পতিবার পায়েলের ওপর তার স্বামী এবং শাশুড়ির অত্যাচারের মাত্রা অনেক বেড়ে গিয়েছিল৷ এদিনও এই গৃহবধূ তার স্বামী ও শাশুড়ির অত্যাচারের শিকার হন বলে অভিযোগ৷ শেষ পর্যন্ত অগ্ণিদগ্দ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি৷