
রাজ্যসভা নির্বাচনে ব্যালট পেপারে নোটার ব্যবস্থা রাখার জন্য নির্বাচন কমিশন শীর্ষ আদালতে অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন বিচারপতি এএম খানউইলকর এবং ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ তা খারিজ করে দিয়ে এই সুযোগ রাজ্যসভার নির্বাচনে রাখা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। যার ফলে নির্বাচন কমিশনের জারি করা নোটিফিকেশন আর কার্যকর করা যাবে না। নির্বাচন কমিশনের নোটিফিকেশনের প্রেক্ষিতে মামলাটি দায়ের করেন গুজরাট বিধানসভার কংগ্রেসের মুখ্যসচেতক শৈলেশ মনুভাই পারমার। আহমেদ প্যাটেলকে যখন রাজ্যসভার প্রার্থী হিসাবে কংগ্রেস দাঁড় করিয়েছিল তখন এই নোটিফিকেশন জারি করে নির্বাচন কমিশন। যা এদিন খারিজ করে দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চকে শুনানির সময় শৈলেশ মনুভাই পারমার জানান, ‘যদি নোটার সুযোগ রাজ্যসভার নির্বাচনে দেওয়া হয় তাহলে ঘোড়া কেনাবেচা ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে।’ সুপ্রিম কোর্ট এই সওয়াল শোনার পর নির্বাচন কমিশনের নোটিফিকেশনকে খারিজ করে দিয়ে জানিয়ে রাজ্যসভার নির্বাচনে ব্যালট পেপারে নোটার সুযোগ অনুমোদন করা যাবে না।
এরপরই সুপ্রিম কোর্ট বলে, প্রত্যক্ষ নির্বাচনে একজন নির্বাচক নোটা প্রয়োগ করতে পারেন। কিন্তু রাজ্যসভার মতো যেখানে পরোক্ষ ভোটিং হয়, সেখানে নোটা প্রয়োগ করা যাবে না। তাই এখন থেকে রাজ্যসভা ভোটে আর নোটা-র ব্যবস্থা থাকবে না। শুধুমাত্র প্রত্যক্ষ নির্বাচনের ক্ষেত্রেই নোটা স্বীকৃত। প্রত্যক্ষ নির্বাচন বলতে বিধানসভা, লোকসভা বা স্থানীয় (পৌর/পঞ্চায়েত) নির্বাচনকেই বোঝানো হয়েছে।