
হিন্দু মহাসভার দাবি, দীর্ঘদিন ধরে শরিয়ত আদালতের বিরোধিতা করে এসেছেন তাঁরা। এক দেশ এক আইনের পক্ষেই ছিলেন তারা। সরকারকে বারবার শরিয়ত আদালত বাতিল করতে অনুরোধও করা হয়েছিল হিন্দু মহাসভার তরফে। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে কোনও পদক্ষেপ না হওয়ায় হিন্দুদের আলাদা আদালত তৈরির পরিকল্পনা। সংস্থার দাবি, জমি জমা, পূজা-অর্চনা, হিন্দু বিবাহ, বিবাহ-বিচ্ছেদ সংক্রান্ত মামলাগুলির সমাধান করা হবে এই আদালতে। অপরাধী প্রমাণিত হলে কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ সাজা ফাঁসির নির্দেশ দিতে পারবে এই হিন্দু আদালত। যদিও, আদালতের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভার দাবি, নিজস্ব আইনে বিচার করা হলে গোটা দেশের হিন্দুদের একত্রিত করা অনেক সহজ হবে। তাছাড়া, ফৌজদারি বা দায়রা আদালতগুলিতে এমনিতেই হাজারো মামলা ঝুলে রয়েছে। এই আদালতগুলিতে গরিব মানুষের বিচার পেতে বছরের পর বছর সময় লেগে যায়। হিন্দু আদালতগুলিতে আলাদা বিচার করা হলে, দায়রা আদালতগুলিতে মামলার বোঝাও কমবে।