গুয়াহাটি, ১৫ আগস্ট, (হি.স.) : যাবতীয় শংকা-উদ্বেগ কাটিয়ে শ্রদ্ধা ও মর্যাদার সঙ্গে অসমে উদযাপিত হয়েছে ৭২-তম স্বাধীনতা দিবস। এই খবর লেখা পর্যন্ত কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা সংঘটিতহয়নি। রাজ্যের সর্বত্র শান্তি ও শৃঙ্খালার মাধ্যমে স্বাধীনতা দিবসের সকল কাৰ্যসূচি সমাপন হয়েছে। তবে দু-এক জায়গা থেকে কালো পতাকা ওড়ানোর খবর পাওয়া গেছে। জানিয়েছেন রাজ্যেরপুলিশ-প্রধান কুলধর শইকিয়া।
সংবাদসংস্থা হিন্দুস্থান সমাচার-এর সঙ্গে কথোপকথনে ডিজিপি শইকিয়া বলেন, রাজ্যে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছিল। পুলিশ প্রশাসন সতর্ক ছিল। স্পর্শকাতর তিনসুকিয়া জেলায় আধা-সেনা ছাড়াও মোতায়েন করা হয়েছে অসম পুলিশের ব্ল্যাকপ্যান্থার বাহিনী। আলফা, এনএসসিএন-এর কষ়েকটি দল তিনসুকিয়া জেলার অরুণাচল প্রদেশ সীমান্তে প্রবেশ করার খবর পেয়ে সম্ভাব্য ঘনজঙ্গলে আধা-সেনা ও ব্ল্যাকপ্যান্থার অভিযান চালায়। ফলে পালিয়ে গেছে জঙ্গিদল।
তবে শোণিতপুর জেলার ঢেকিয়াজুলি এবং ওদালগুড়িতে সন্দেহভাজন আলফা কালো পতাকা উত্তোলন করেছে বলে জানান ডিজিপি কুলধর শইকিয়া। জানান, ঢেকিয়াজুলিতে কালো পতাকাওড়ানোর খবর পেয়ে সঙ্গে-সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পুলিশ তা নামিয়েছে। অন্যদিকে, বিটিএডি-র ওডালগুড়ি জেলার আমজুলি মিলনজ্যোতি এমই স্কুল প্রাঙ্গণেও কালো পতাকা তোলা হয়েছিল।আজ স্বাধীনতা দিবসের দিন সকালে স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি স্কুল চত্বরে একটি কালো পতাকা তোলা হয়েছে দেখে খবর দেন পুলিশে। পুলিশ গিয়ে সেই কালো পতাকাও নামিয়েছে। এ কাজও আলফা(স্বাধীন)-এর বলে মনে করছে পুলিশ।
অন্য এক জিজ্ঞাসার জবাবে ডিজিপি বলেন, আলফা (স্বাধীন)এর ধারা গুলিতে শহিদ পুলিশ অফিসার ভাস্কর কলিতাতে পরবর্তীতে পদক দেওয়া হবে। ঘটনার তদন্ত চলছে। তাই তাঁকে মরণোত্তরসাহসী বীরের সম্মানসূচক পদক আজ দেওয়া হয়নি। বিষয়টি রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের বিবেচনাধীন। ভাস্কর কলিতার মৃত্যু সংক্রান্ত ঘটনার তদন্ত সঠিক পথেই চলছে বলে জানান ডিজিপি কুলধরশইকিয়া।