সোমবার ১০ ঘণ্টার ডিমা হাসাও জেলা বনধ, চলবে যাত্রীবাহী ট্রেন

হাফলং (অসম), ১২ আগস্ট (হি.স.) : বিজেপি-শাসিত উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদ ভঙ্গ করে রাজ্যপালকে এর দখল নেওয়ার পাশাপাশি দলের দুই নেতার ‘খুনি’ মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য (সিইএম) দেবোলাল গারলোসাকে শিগগির গ্রেফতারের দাবির ভিত্তিতে আগামীকাল ১৩ আগস্ট ভোর পাঁচটা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত ১০ ঘণ্টার ডিমা হাসাও জেলা বনধের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস। তবে এই বনধ-এর আওতা থেকে রেহাই দেওয়া হয়েছে পাহাড় লাইনে চলাচলকারী যাত্রীবাহী সবধরনের ট্রেন, স্বাস্থ্য, সংবাদমাধ্যম, পানীয় জল, শিশুখাদ্যবাহী যানবাহনকে।

আহূত দশ ঘণ্টার বনধ সফল করতে ডিমা হাসাও জেলা কংগ্রেস হাফলঙে দেদার পোস্টারিং করেছে। কোনও নিখোঁজ অপরাধীর সন্ধানে যেমন ফটো সংবলিত পোস্টারিং হয় তেমন পোস্টার সেঁটেছে দল। এ ঘটনাকে অবশ্য খোদ দেবোলালের পাশাপাশি সাধারণ জনতাও ভালো চোখে দেখছেন না। অনেকেই বলেছেন, একজন দাগি অপরাধীর মতো স্বশাসিত পরিষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্যের ছবি ছাপিয়ে শালীনতা লঙ্ঘন করেছে কংগ্রেস।

এদিকে আজ রবিবার এক সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে সোমবারের ডিমা হাসাও বনধ-এর তীব্র নিন্দা করার পাশাপাশি পোস্টারে তাঁর ছবি ছাপানোর বিরুদ্ধে তিনি জেলা কংগ্রেস নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন দেবোলাল গারলোসা। তিনি বলেছেন, আগামীকালের বনধ সম্পূর্ণ অবৈধ। কারণ সুপ্রিম কোর্ট বনধকে ইতিমধ্যেই অবৈধ বলে ঘোষণা করেছে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার আগেই কংগ্রেস আহূত বনধ সম্পর্কে পোস্টারে আমার ফটো অপরাধীদের মতো ছাপিয়েছে। এর বিরুদ্ধে মানহানি মামলা দায়ের করব আমি। এ নিয়ে আইনজীবীর সঙ্গে কথাও হয়ে গেছে।’

একইভাবে দেবোলাল গারলোসার আইনজীবী দয়ামণি সিং সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, পূর্ণেন্দু ও নিন্দু লাংথাসা খুন-মামলার চার্জশিট পুলিশ এখনও আদালতে জমা দেয়নি। তাই এখনই দেবোলাল গারলোসাকে গ্রেফতারের প্রশ্ন ওঠেই না।

সাংবাদিক সন্মেলনে বিজেপি সভাপতি নিপোলাল হোজাই বলেন, সোমবার কংগ্রেস ১০ ঘণ্টার যে ডিমা হাসাও জেলা বনধ ডেকেছে, সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টিতে তা সম্পূর্ণ অবৈধ। তাই বিজেপির পক্ষ থেকে রবিবার বনধ-এর বিরোধিতা করে ডিমা হাসাওয়ের জেলাশাসক অমিতাভ রাজখোয়া এবং পুলিশ সুপার প্রশান্ত শইকিয়াকে পৃথক পৃথক স্মারকপত্র প্রদান করা হয়েছে।