নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১০ আগষ্ট৷৷ পূর্ব থানার সামনে পায়েল হত্যাকাণ্ডে জড়িত এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ ধৃত ব্যক্তির নাম
বলরাম বিশ্বাস৷ তার বাড়ি ক্যাম্পের বাজার৷ জানা গেছে, পুলিশ এই ঘটনায় কোনও মামলা নেয়নি৷ পরবর্তী সময়ে পায়েলের বৌদি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন৷ পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করে৷ তদন্ত শুরু করার পরক্ষনেই গ্রেফতার করা হয় বলরাম বিশ্বাসকে৷ বাকিদের নামধাম জানার জন্য ধৃত বলরামকে জিজ্ঞাসাবদ করছে পুলিশ৷ উল্লেখ্য জনৈক মহিলাকে পূর্ব থানার সামনে কতিপয় দুসৃকতকারী আক্রমণ করে তাঁর মাথা থেঁতলে খুন করেছে৷ মহিলাকে পিটিয়ে খুন করার পেছনে গভীর চক্রান্ত রয়েছে বলে জানা গেছে৷ প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, ঘটনার দিন রাতে পায়েল দাস নামের ওই মহিলাকে পিকলু নামের জনৈক যুবক লাঠি এবং ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করেছিল৷
সঙ্গে সঙ্গে আহত মহিলাকে প্রথমে আইজিএম হাসপাতালে, পরে জিবি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি৷ জিবি হাসপাতালে মারা যান পায়েল৷ পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনার পেছনে বলরাম বিশ্বাস ছাড়া শান্তি, শিপেন নামে আরও কয়েকজন ব্যক্তি জড়িত রয়েছে৷ তারা সকলেই এন্ডিং (এক ধরনের জুয়া) ব্যবসার সাথে জড়িত৷ মোটরস্ট্যান্ড এলাকায় তারা এন্ডি ব্যবসা চালায়৷
অপরদিকে বিভিন্ন দোকানে কাজ করার সুবাদে পায়েলের পুলিশের সাথে এক সুসম্পর্ক তৈরি হয়েছিল৷ পুলিশের সোর্স হিসেবেও কাজ করত বলে সন্দেহ করত অনেকে৷ পুলিশ জানিয়েছে, আততায়ীরা ধরে নিয়েছিল, পায়েল পুলিশের কাজ করছে৷ সে কারণেই পায়েলকে এক ঘটনাচক্রে নৃশংসভাবে হত্যা করে তাদের পথ থেকে কাঁটা সরিয়ে দিয়েছে৷ অন্য এক সূত্রে জানা গেছে, আগামী এক -দু’দিনের মধ্যে পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে যুক্ত আরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করতে পারে৷ এদিকে পুলিশের তদন্ত -প্রক্রিয়া নিয়ে দু’ধরনের কথা শোনা যাচ্ছে৷ কেউ বলেছেন, পুলিশ চাপে পরে অভিযুক্তদের ধরতে দৌড়ঝাঁপ চালাচ্ছে, আবার কেউ কেউ বলছেন, পুলিশ ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য দু-একজনকে দরে নামকাওয়াস্তে তদন্ত চালাচ্ছে৷ তবে পায়েলের পরিবার এখন পুলিশের দিকে তাকিয়ে আছে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত বাকিদেরকে গ্রেফতার করতে পারে কিনা৷ তাদের অভিযোগ, থানা লাগোয়া জায়গায় পায়েলকে খুন করা হলেও পুলিশ বেরিয়ে আসেনি৷
2018-08-11
