ঝাড়্গ্রাম, ১১ আগস্ট (হি. স.) : বাড়ি থেকে বেরানোর নেই কোনও রাস্তা। যার ফলে বর্ষার সময় এক প্রকার গৃহবন্দী অবস্থা গ্রামের
মানুষজনদের। গ্রামের রাস্তা না থাকায় চরম সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় স্কুল পড়ুয়া থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষজনদের। এমনকি গ্রামের কোনও মানুষ অসুস্থ হলে গ্রামের মধ্যে কোনও গাড়ী ঢোকানো যায় না। তাই অসুস্থ রোগীকে খাটিয়াতে করে স্বাস্থ্য কেন্দ্র নিয়ে যেতে হয়। গ্রামের মধ্যে আলাদা করে রাস্তা চেনার কোন উপায় নেই। পুরো রাস্তায় কাদায় ভরা! গ্রামের রাস্তা বলে কিছু নেই।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ পাঁচবছর আগে গ্রামের রাস্তায় একবার মোরামা পড়েছিল। বেশ তারপর থেকে রাস্তার কোন কাজই হয়নি।পিচ বা কংক্রিট হওয়া তো দূরস্থ মোরামই পড়েনি।আদিবাসী অধ্যুষিত এই গ্রামের দরিদ্র মানুষ গুলি অত্যন্ত খারাপ অবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। জল,কাদায় ভরা রাস্তা দিয়ে গ্রামের পড়ুয়ারা বিদ্যালয় যেতে পারছেনা। গত কয়েক দিন আগের বৃষ্টিতে বাড়ির বাইরে কেই মা মাড়াতে পারেনি। বেলপাহাড়ি তথা বিনপুর দুই ব্লকের ভেলাইডিহা গ্রামপঞ্চায়েতের কাপাসগড়া গ্রামটিতে প্রায় পঞ্চাশ টি আদিবাসী পরিবারের বাস।গ্রামবাসীদের অভিযোগ এই গ্রামটির দিকে প্রশাসনের কোন নজর নেই।তাদের বর্ষায় ভয়ঙ্কর কষ্টে তাদের দিন কাটছে। কাপাসগড়া গ্রাম থেকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দূরত্ব প্রায় পাঁচ কিমি।এঠেলা গ্রামে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাতে আন্ত্রিক রোগী সহ অন্যান্য রোগীদের যেতে ব্যাপক সমস্যা হয়।যে হেতু গ্রামে কোন রাস্তা বলে কিছু নেই জল,কাদায় ভরা তাই কোন গাড়ি গ্রামে ঢোকে না।ফলে চরম এক সমস্যায় দিন কাটাচ্ছে আদিবাসী মানুষ গুলি।বার্ষায় স্কুল যেতে পারছে না পড়ুয়ারা। পিচ্ছল রাস্তায় হাটতে পড়ে গিয়ে দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন প্রায়দিন গ্রামবাসীরা। এই গ্রামের রাস্তার উপর দিয়ে দিয়াশি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় যেতে হয় পড়ুয়াদের।এছাড়া বেলপাহাড়ি সদর সহ কাঁকো,হাড়দা বিভিন্ন হাটে এই রাস্তার কারনে না যেতে পেরে তীব্র সমস্যায় পড়েছেন গ্রামবাসীরা।রুজিতে টান পড়েছ তাদের।কাপাসগড়া গ্রামের বাসিন্দা ঢেকিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সৃজন হাঁসদা, গ্রামের বাসিন্দা শম্ভুনাথ হাঁসদারা বলেন “ আমরা প্রায় পঞ্চাশ ঘর আদিবাসী পরিবারা আছি।আমাদের গ্রামের রাস্তা বলতে কিছুই নেই। গত কয়েক দিনের বর্ষায় গ্রামবাসীরা গৃহবন্দী হয়ে পড়েছিল। বৃষ্টি থামলেও গ্রামের রাস্তায় চালার যোগ্য নেই।পুরো কাদায় ভরা।খাটিয়া করে ডায়েরিয়ার রোগী সহ অন্যান্য রোগীদের নিয়ে যেতে হচ্ছে।গ্রামে কোন গাড়ি ঢুকচ্ছে না। সাইকেল নিয়েও যাওয়া যাচ্ছে না। স্কুলের পড়ুয়ারা স্কুল যেতে পারচ্ছে না। এক দুঃসহ পরিস্থিতিতে আমরা রয়েছি।অবিলম্বে আমাদের গ্রামের রাস্তা হওয়া প্রয়োজন।” এই বিষয়ে বেলপাহাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি বংশীবদন মাহাতো বলেন “ খুব শিঘ্রই ওই রাস্তাটির টেন্ডার হবে।এবং কাজও শুরু হবে দ্রুত।” এবিষয়ে বিনপুর দুই বেলপাহাড়ী ব্লকের বিডিও বরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, গ্রামবাসীরা যদি লিখিত অভিযোগ করে থাকেন। আমি খোঁজ নিয়ে দেখে রাস্তাটি দ্রুত করে দেওয়া হবে।

