সেতু তৈরীর প্রযুক্তিগত ত্রুটির ফলেই বাঁকুড়ায় বন্যা পরিস্থিতি : সেচমন্ত্রীর

দুর্গাপুর, ৮আগস্ট (হি.স.): বামজামানায় নদীর পাড়ে বাড়ি নির্মানের অনুমোদন আর সেতু তৈরীর প্রযুক্তিগত ত্রুটির ফলেই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বুধবার বাঁকুড়ায় বন্যা বিদ্ধস্ত এলাকাপরিদর্শনে এসে অতীতে  জেলার বামফ্রন্ট বোর্ডকেই  দায়ী  করলেন সেচ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। পাশাপাশি এদিন তিনি জেলাপ্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন। এবং সতীঘাটে ১৮ কোটি  টাকা ব্যায়েনতুন সেতু নির্মানের কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হবে বলে জানান সৌমেনববাবু।

প্রসঙ্গত, গত ৬ আগস্ট রাতে প্রবল বৃষ্টির জেরে বাঁকুড়ায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরী হয়। গন্ধেশ্বরী নদী ফুলেে ওঠায় শহরের একাংশে  জল ঢুকে যায়। জুনবেদীয়া এলাকায় এক ডেকোরেটার্স ব্যাবসায়ীরবাড়ী পড়ে যায়। এছাড়াও গোটা জেলায় ৫২ টি বাড়ী ভেঙে  পড়ে, ৬৬৩ টি বাড়ী আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দুজনের মৃত্যুও হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে তৎপরতা শুরু প্রশাসন। বুধবার  বন্যাপরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বাঁকুড়ায় আসেন সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। এদিন তিনি ক্ষতিগ্রস্ত জুনবেদিয়া, সতীঘাট,  কেশিয়াকোল প্রভৃতি এলাকা ঘুরে দেখেন । পরে সার্কিট হাউসে জেলা শাসক সহবিভিন্ন সরকারি  দফতরের আধিকারিক  দের  সাথে বৈঠকে বসেন। সাংবাদিকদের মুুখোমুখি

হয়ে তিনি জানান,\” ২০০৫ সালে নদীর সেতুটি নির্মানে প্রযুক্তিগত ত্রুটি ছিল। এখন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি সেতু নির্মান হচ্ছে। তাছাড়াও ৬০ ফুট দৈর্ঘ্যের নদী, ক্ষরস্রোতা নদীর ৩০ ফুট গতিপথে জলকিভাবে যাবে? নদীর পাড়ে নির্মানের অনুমতি কিভাবে দেওয়া হয়েছিল। জেলাশাসক, জেলার মন্ত্রী, বিধায়কদের বলেছি ওইসব বাড়ীর অনুমতি কিভাবে পেয়েছে। তারপরই প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়াহবে।\” এছাড়াও কয়েকমাস আগেই জেলায় প্রশাসনিক বৈঠকে  সতীঘাট সেতু  নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মন্ত্রী সৌমেনবাবু জানান,\”নতুন সেতু নির্মাণের  জন্য ১৮ কোটি টাকা  বরাদ্দকরা হয়েছে । এবং শীঘ্রই ওই কাজ শুরু হবে।\”