নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১২ জুলাই৷৷ বিধবংসী অগ্ণিকান্ডে গোদাম সহ পাঁচটি দোকান পুড়ে ছাঁই হয়ে গিয়েছে৷ বৃহস্পতিবার রাজধানী আগরতলায় কল্যানীতে বিকেল পাঁচটা নাগাদ এই অগ্ণিকান্ডের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল৷ কারণ, সঠিক সময়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা না গেলে আরো দোকানপাঠ ও আশপাশের বাড়িঘরে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পরার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল৷ তাতে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরোও বেড়ে যেত বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল৷
এদিন বিকাল পাঁচটা নাগাদ স্থানীয় জনগণ কয়েকটি দোকান থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে তা লক্ষ্য করেন৷ সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় দমকল বাহিনীকে৷ কিন্তু, দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌছানোর আগেই দোকানগুলিতে আগুন দাউ দাউ করে জ্বলতে শুরু করে৷ তাতে বিজয় মেডিক্যাল হল, একটি বিউটি পার্লার, একটি গাড়ি মোরামতির দোকান, একটি টিফিনের দোকান, একটি টায়ার মেরামতির দোকান এবং একটি রঙের গোদামে আগুন লাগে৷ মুহুর্তের মধ্যেই আগুন বিধবংসী রূপ ধারণ করে৷ তাতে রঙের গোদাম ঘর সহ পাঁচটি দোকান পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়৷ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য দমকলের তিনটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌছায়৷ আপ্রাণ চেষ্টা করার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়৷ দমকল কর্মীরা জানিয়েছেন প্রাথমিক ভাবে অনুমান সর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত৷ সাথে আরোও জানিয়েছেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপন করা হয়নি৷
স্থানীয় জনগণের বক্তব্য, ধোঁয়া বের হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে৷ ফলে, দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছার আগেই দোকানগুলি পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়৷ জনৈক প্রর্ত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য, সর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগার বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া যায়না ঠিকই, কিন্তু টিফিনের দোকান থেকেও আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে৷ সমস্ত ঘটনা তদন্ত হওয়া খুবই জরুরি৷ নইলে আগুন লাগার প্রকৃত কারণ জানা যাবে না৷ তাঁর বক্তব্য, প্রকৃত কারণ জানা গেলেই আগামী দিনে এ ধরনের ভয়াবহ ঘটনা থেকে সতর্কতা অবলম্বন করা হবে৷ কারণ, এদিনের অগ্ণিকান্ডের ঘটনায় সমগ্র এলাকায় ভীষণ আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে৷

