নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৩ জুন৷৷ পঞ্চায়েত স্তরে গরীব মানুষের অর্থ আত্মসাৎ করে ফুলে ফেপে কলাগাছ হয়েছিল সিপিএম নেতারা৷ গরীব মেহনতী সর্বহারার দল নাম লাগিয়ে গরীব মানুষকেই শোষণ করতো এরা৷ যার ফলশ্রুতিতে ১৮ এর নির্বাচনে জনতা দড়ি ধরে টান মেরে রাজাকে খান খান করেছে৷ ১৮ এর নির্বাচনে ভোটের দাদন হিসাবে পঞ্চায়েতের সিপিএম নেতারা বেনিফিসারীর একাউন্ট টাকা ঢুকিয়েছিলো৷ কিন্তু সেই টাকা তুলার সময় ঘটলো বিড়ম্বনা৷ কদমতলা ব্লক এলাকার রানীবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের তিন নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুধীর কালিপ্তির একাউন্টে ১০ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা তপশীল জাতির কোটায় বেনিফিসারী নির্ধারণ করে৷ তাও ভোটের আগে৷ ভোট পর্ব সাঙ্গ হয়ে সিপিএম বিধানসভায় ক্ষমতা হারালেও রাণীবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষমতা এখনো সিপিএম নেতাদের হাতে৷ কয়েক দিন আগে অভিমন্যু কালিপ্তি নামে এক সিপিএম নেতা সুধীর কালিতিকে গাড়ী ভাড়া দিয়ে কদমতলায় নিয়ে আসে৷ এবং একাউন্ট চেক করায়৷ তারপর ব্যাঙ্ক কর্মী শরতেন্দু চক্রবর্তীর মাধ্যমে আঙ্গুল ছাপ দিয়ে টাকা তুলে ১ হাজার টাকা সুধীরকে দিয়ে, বাকি ৯ হাজার টাকা অভিমন্যু ক্যালিপ্তি পঞ্চায়েত সদস্য মনির আলী, রবি সিং মিলে আত্মসাৎ করে৷ একাউন্ট গ্রাহক তথা বেনিফিসারী সুধীর কালিপ্তি এই তিন সিপিএম নেতা যথাক্রমে, মনীর আলী, রবি সিং ও অভিমন্যু কালিপ্তির নামে থানায় মামলা করেন৷ কদমতলা থানা মামলা নিতেই সিপিএম নেতারা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন৷ তবে সংবাদ প্রতিনিধির সামনে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে মনীর আলী ও রবি সিং এমন ভাবে বক্তব্য রাখলেন যেন উনারা কিছু জানেন না৷ এটা নাকি রাজনৈতিক চক্রান্ত ইত্যাদি ইত্যাদি৷ তবে এই ঘটনায় প্রমানিত গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরের গরীব মানুষের অর্থ কিভাবে নেতারা হাপিজ করছে এবং পরে বলছে আমরা কিছু জানিনা৷ শুধু মাত্র এই পঞ্চায়েতেই নয়৷ কদমতলা ব্লকের বেশ কিছু গ্রাম পঞ্চায়েতে এই ধরনের আর্থিক নয়ছয় হয়েছে বাম জমানায়৷ আর এসব এখন প্রকাশ্যে আসছে৷
2018-06-24